আনসার আল ইসলামের সদস্যদের নতুন গ্রম্নপ, তিনজন গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গ্রেপ্তারকৃত আনসার আল ইসলামের তিন সদস্য -সংগৃহীত
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা 'শাহাদাত' নামে নতুন গ্রম্নপ তৈরি করে সদস্য সংগ্রহসহ দাওয়াতি কার্যক্রম চালাচ্ছিল। শুক্রবারর্ যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ওর্ যাব-৩ এর যৌথ অভিযানে ওই গ্রম্নপের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীর গুলিস্তান ও নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং শাখার প্রধান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (২৫), দুই আঞ্চলিক প্রশিক্ষক জিহাদ হোসেন ওরফে হুজাইফা (২৪) ও আমিনুল ইসলাম (২৫)। শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারর্ যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আনসার আল ইসলামের সদস্য। বর্তমানে তারা শাহাদাত নামে নতুন গ্রম্নপ তৈরি করে সদস্য সংগ্রহসহ দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতো। ওই গ্রম্নপের সদস্য সংখ্যা শতাধিক। আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং শাখার প্রধান ইসমাইল শাহাদাত গ্রম্নপেরও প্রধান হিসেবে কার্যক্রম চালাচ্ছিল। ইসমাইলের বরাতের্ যাবের কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, এই গ্রম্নপ সালাহউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। সে বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছে। গ্রম্নপের অন্যান্য সদস্য অবস্থান করছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তারা বিভিন্ন সময় মসজিদ, বাসা বা বিভিন্ন স্থানে সদস্যদের নিয়ে গোপন সভা করতো এবং সংগঠনের সদস্যদের শারীরিক কসরত প্রশিক্ষণ দিত। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত বিশেষ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরাসহ ঢাকার আশপাশের এলাকাকে প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারণ করতো। সংগঠনের অধিকাংশই মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক। র?্যাবের মুখপাত্র বলেন, গ্রেপ্তার ইসমাইল নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিসে অধ্যয়নরত। এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত জঙ্গি নেতা সালাউদ্দিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সূত্রে সে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগদান করে দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতো। একপর্যায়ে তাকে সংগঠনের রিক্রুটিং শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জিহাদ একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। সেও প্রায় এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি গ্রম্নপে বিদেশে অবস্থানরত এক জঙ্গি নেতার সঙ্গে পরিচয় সূত্রে আনসার আল ইসলামে যোগদান করে। এরপর থেকে তার মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন এলাকায় দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতে থাকে। পরে সে সংগঠনে আঞ্চলিক প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পায়। গ্রেপ্তার আমিনুল পেশায় একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। প্রায় ছয় মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত এক জঙ্গি নেতার সঙ্গে পরিচয়সূত্রে সেও সংগঠনে যোগ দেয়। পরে সে তার নিজ এলাকায় দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। একপর্যায়ে সে সংগঠনে আঞ্চলিক প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পায়। এক প্রশ্নের জবাবে আরাফাত ইসলাম বলেন, 'সালাউদ্দিন বর্তমানে বিদেশে আছে। সংগঠনটির ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মী সংগ্রহের প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল সে। আমরা অধিকর তদন্তে প্রত্যেকের অবস্থান শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।'