সোনারগাঁয়ে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

স্বামীসহ আটক ২

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার ভট্টপুর এলাকায় সালমা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পরকীয়ার জেরে পারিবারিক কলহে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন নিহতের পরিবার। শুক্রবার সকালে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর স্বামী মোহাম্মদ রূপচাঁন ও তার ভাই সুলতানকে আটক করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রিপন খান বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, সোনারগাঁও পৌরসভার তাজপুর গ্রামের সালাউদ্দিন মিয়ার মেয়ে সালমা বেগমের সঙ্গে ভট্টপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রূপচাঁনের ২০০৫ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আবদুলস্নাহ আরবান কাইফি (১৬) ও খাদিজা আক্তার (৭) নামে দুই সন্তান রয়েছে। ২০২২ সালে একটি গ্রম্নপে চাকরির সুবাধে এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মোহাম্মদ রূপচাঁন। বিষয়টি সালমা বেগম জানার পর থেকে তাদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। প্রায়ই সালমা বেগমকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। বৃহস্পতিবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। অভিযোগ রয়েছে ওই রাতের কোনো এক সময় সালমা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে মরদেহ ফেলে পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ রূপচাঁন। শুক্রবার সকালে মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই রিপন খান অভিযোগ করে জানান, 'পরকীয়ার জের ধরে তার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে স্বামী রূপচাঁন। হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।' সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী ও তার ভাইকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃতু্যর রহস্য উদঘাটন করা যাবে।