শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

ঢাকায় বোমার কারখানার সন্ধান তিনজন আটক

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ মে ২০২৪, ০০:০০
ঢাকায় বোমার কারখানার সন্ধান তিনজন আটক

রাজধানীর বাড্ডার টেকপাড়া এলাকায় বোমা তৈরির একটি কারখানা থেকে ৬৫টি হাতবোমাসহ তিনজনকে আটক করেছে র?্যাব। বুধবার রাতে র?্যাব-৩ এর একটি দল ওই কারখানায় অভিযান চালায়। বোমাগুলো ভয়াবহ বিপজ্জনক এবং সামনে উপজেলা নির্বাচনসহ অন্যান্য ঘটনায় সেগুলো ব্যবহার করতে তৈরি করা হতে পারে বলে ধারণা করছে র?্যাব।

বুধবার রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন র?্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। এর আগে বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়। পরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পৌঁছলে অভিযান শুরু হয়।

অভিযান শেষে র?্যাব-৩ এর অধিনায়ক ফিরোজ কবীর সাংবাদিকদের বলেন, 'আট থেকে দশ দিন আগে নারায়ণগঞ্জকেন্দ্রিক একটি গ্রম্নপ ঢাকা শহরে বোমা তৈরি করছে এমন খবর পায় র?্যাব। পরে তাদের কার্যক্রম অনুসরণ করে তথ্য পাওয়া যায়, বুধবার পূর্ব-বাড্ডার টেকপাড়া এলাকার একটি বাসায় আধুনিক হাতবোমা তৈরি করছে চক্রটি। সেই তথ্যের ভিত্তিতে র?্যাব-৩ এর একটি দল বাসাটি ঘিরে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় হাতেনাতে তিনজনকে আটক করা হয় এবং ৬৫টি হাতবোমাসহ বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, আটক তিনজন হলেন ফাহিম, লিমন ও আকুল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, সজীব নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে দুই থেকে তিন ঘণ্টা কাজের জন্য আসে। তারা মূলত জুতার কারখানায় কাজ করে। ২৬ হাজার টাকার চুক্তিতে হাতবোমা বানানোর কাজে আসে। তাদের দায়িত্ব ছিল বোমাগুলো তৈরির পর ঘরের ভেতরে রেখে তালা মেরে চাবিটি মাটির নিচে পুঁতে রাখা। শুধু সজীবই জানবে চাবি রাখার বিষয়টি।'

র?্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, বোমাগুলো বুধবার রাতে বাসে করে গাজীপুর পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। গাজীপুরে বোমাগুলো কার কাছে যাবে সেটি জানেন না সজীব। তবে মাসুম নামে একজন সেগুলো বাস থেকে নিয়ে যাবেন সেই তথ্য ছিল তার কাছে।'

ফিরোজ কবীর বলেন, র?্যাব-৩ এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট উদ্ধারকৃত বোমাগুলো পর্যালোচনা করে বলেছে, সেগুলো সাধারণ ককটেলের মতো নয়, ভয়াবহ বিপজ্জনক বোমা। এগুলো জর্দার কৌটাতে তৈরি করা হলেও ভেতরে বারুদ, কাচের টুকরো, সাইকেলের বল ও তারকাঁটাসহ অন্যান্য বিপজ্জনক বস্তু রয়েছে। সব থেকে বিপজ্জনক হলো এটি ট্রিগার মেকানিজমে তৈরি। আর্জেস সেভেনটি-২ গ্রেনেডের মতো সিস্টেম। ট্রিগার চাপলে এটি মাটির ওপরে হাওয়ায় বিস্ফোরিত হয়। প্রায় ৩০ মিটার আশপাশে কোনো ব্যক্তি বা বস্তু ক্ষতির আওতায় পড়বে।'

তিনি আরও বলেন, 'জঙ্গিদের কাট-আউট সিস্টেমে অর্থাৎ চক্রের একজন অন্যজন সম্পর্কে জানলেও তৃতীয়জন সম্পর্কে জানবে না এমন পদ্ধতিতে বোমাগুলো বানানো হচ্ছিল। আটক তিনজন অর্থের বিনিময়ে বোমা তৈরি করতে এসেছে। তারা আগেও এভাবে টাকার বিনিময়ে বোমা তৈরি করেছে। বোমাগুলো কোথায় ব্যবহার হবে সুনির্দিষ্টভাবে তারা বলতে পারেনি। তবে সামনে উপজেলা নির্বাচনসহ অনেকগুলো ঘটনায় নাশকতা করতে ব্যবহার করতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে