রংপুরে প্রধান বিচারপতি

প্রত্যেক মানুষ যেন ন্যায়বিচার পান, তা সংবিধানে আছে

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২৪, ০০:০০

রংপুর প্রতিনিধি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, 'ন্যায়বিচার মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধানে বলা হয়েছে- প্রত্যেকটি মানুষ, প্রত্যেক নাগরিক যেন রাষ্ট্রের কাছে ন্যায়বিচার পান।' বৃহস্পতিবার রংপুর জেলা জজশিপে বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের বিশ্রামাগার 'ন্যায়কুঞ্জ' শেডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। পরে চিফ জুডিসিয়াল আদালত ভবনের হলরুমে বিচারক ও আইনজীবীদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি মতবিনিময় করেন। ন্যায়কুঞ্জ আদালত চত্বরে ঘোরা মানুষদের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'ন্যায়কুঞ্জ বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বিচারপ্রার্থীরা আদালতে এসে তাদের যে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়, সেই দুর্ভোগ লাঘবে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হয়েছে। এখানে বসে বিচারপ্রার্থীরা বিশ্রাম নিতে পারবেন।' দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল হাসান বলেন, 'ন্যায়বিচার প্রাপ্তির প্রথম কাজটি করেন বিচারকগণ। কিন্তু বিচারকাজ চলার সময় বিচারপ্রার্থীদের যদি ডেকে পাওয়া না যায়- তাহলে বিচারকাজ শেষ করতে বিলম্ব হয়। সেজন্য বিচারপ্রার্থীরা যদি একটু আরামে, ভালোভাবে অবস্থান করতে পারেন তাই আজকের এই ন্যায়কুঞ্জ।' মামলার দীর্ঘসূত্রতা লাঘবে জেলা জজের নেতৃত্বে বিচারকসহ সংশ্লিষ্টরা যেন আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন, সেই আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি এ কে এম সাইফুর রহমান, রংপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোহাম্মদ নাজির, বিভাগীয় শ্রম আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলুল করিম, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুরুজ মিয়া, জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ জেলা জজশিপের বিচারক ও আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, এক হাজার বর্গফুটের ন্যায়কুঞ্জে নারী-পুরুষদের আলাদাভাবে ৭২টি বসার স্থান, মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষ, পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা বাথরুম, খাবার ক্যান্টিন, সুপেয় পানি এবং অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা রয়েছে।