আজকের যায়যায়দিন

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিবিসিআই) পরিচালনা পর্ষদকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী, সম্মিলত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতা এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, নিজাম উদ্দিন রাজেশ, আমির হোসেন নূরানীসহ সংগঠনটির ২০২৩-২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আয়রন ও স্টিল খাতের বিদ্যমান ভ্যাট-ট্যাক্স সমস্যা ও সংকট উত্তরণে এফবিসিসিআইয়ের সহযোগিতা কামনা করেন বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুজার গিফারী জুয়েল।

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও আয়রন স্টিল খাতের উদ্যোক্তা আমির হোসেন নূরানী আয়রন ও স্টিল খাত বাঁচাতে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধ, অগ্রিম কর প্রত্যাহার, প্রকৃত মূল্যে শুল্কায়নের দাবি জানান। এ ছাড়া এ খাত উন্নয়নে সরকারি নীতিগত সহায়তা বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।

এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী বলেন, 'আপনারা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আসুন। এফবিসিসিআই সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। আমির হোসেন নূরানী বলেন, আয়রন ও স্টিল খাত নানামুখী সংকটের মধ্যে রয়েছে। এ খাতের উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিদ্যমান ভ্যাট-ট্যাক্স কমাতে হবে কিংবা সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। আয়রন ও স্টিল খাত বিকাশে ভ্যাট আইন সহজীকরণ, অগ্রিম কর (এটি) প্রত্যাহার ও সব এইচএস কোডের সমান ট্যারিফ করা প্রয়োজন।'

এ সময় সংগঠটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উলস্নাহ, সহ-সভাপতি কাজী হাবিবুর রহমান হাবু, কেরানীগঞ্জ স্টিল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহমুদ আলম আয়রন ও স্টিল খাতের বিদ্যমান সংকট দূর করার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

বক্তারা বলেন, এ খাত থেকে বছরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পায় সরকার। অথচ নীতিগত সহায়তা বাড়ানো হলে সরকারের রাজস্ব আয় আরও বাড়ত। এ ছাড়া নতুন বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হতেন।

সভা শেষে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকদের হাতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এরপর নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।