শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১
নানা অনিয়মের অভিযোগ

কসবায় ২০টি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০
কসবায় ২০টি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি

নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ২০টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক)

এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (তালা প্রতীক) মো. মনির হোসেন।

বুধবার দুপুরে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়ার বাসভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূইয়া জীবন অভিযোগ করে বলেন, 'মঙ্গলবার কসবায় প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে উপজেলার ৮৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মান্দারপুর ভোট কেন্দ্র, শাহপুর ভোট কেন্দ্রসহ ২০টি ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের (আনারস প্রতীক) বের করে দিয়ে প্রতিপক্ষ ও বিজয়ী প্রার্থী ছাইদুর রহমান স্বপনের (কাপ-পিরিচ প্রতীক) সমর্থকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় ব্যালেট পেপারে সিল মেরেছে। আমি ও মনির (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) বার বার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।'

তিনি বলেন, 'নির্বাচনের দিন ২০টি ভোট কেন্দ্রের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করে সরিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ব্যালেট পেপারে সিল মারে। এ ঘটনায় তার ৫ শতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন।'

এসব ঘটনার স্থিরচিত্র ও ভিডিও তার কাছে আছে জানিয়ে তিনি প্রহসনের এই ভোটের ফলাফল বাতিল করে ২০টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেন বলেন, 'উপজেলার বায়েক এলাকার তাদের একজন কর্মীকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে তুলে নিয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান এখনো তারা পাননি। প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের হামলা-মামলার ভয়ে তাদের সমর্থকরা এখন আতঙ্কে আছেন।'

এ সময় কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।

উলেস্নখ্য, গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ-পিরিচ) প্রতীক ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট। তিনি আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন।

অপর দিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. শফিকুল ইসলাম (চশমা প্রতীক) ৭৬,৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন (তালা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯,১৯১ ভোট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে