গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, চলতি অর্থবছরের মধ্যে ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। না করা হলে বিপুল জনগণের শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ও জবাবদিহির দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ও জবাবদিহি, ব্যাংক লোপাট ও অর্থ পাচার রুখে দাঁড়ানো, ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে
বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখী গণসংহতি আন্দোলনের মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনের সড়কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান। এজন্য বাইরে থেকে এর নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতর থেকে লুটপাট ও অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। জনগণের টাকার নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রাজনৈতিক নির্দেশনায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ১৫ বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। অবলোপন ও মাফ করা ঋণের হিসাব করলে খেলাপি ঋণ চার লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কোনো সাধারণ মানুষ ঋণখেলাপি নয়, কথিত ফকির-দরবেশরা এই টাকা লুটপাট করেছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের যাদের দায়িত্ব ছিল এই টাকা রক্ষা করার, তারা দায়িত্ব পালন না করে এই লুটপাটে সহায়তা করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে আগের অর্থবছরে রপ্তানিকারকরা ৯ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে আনেননি। চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে দেশে আনেননি ৯ বিলিয়ন ডলার; এই অর্থ দেশের শ্রমজীবী মানুষের উলেস্নখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে আমদানি রপ্তানির আড়ালে টাকা পাচারকারীর তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায়, তরিকুল সুজন প্রমুখ।