ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) কৃষি অনুষদের গবেষকরা চীনের ইউনান ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় বহুবর্ষজীবী ধানের গবেষণার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বহুবর্ষজীবী ধানের বিশেষত্ব হলো- এটি পাঁচ বছরে টানা ১০টি ফসল ফলাতে পারে। অর্থাৎ প্রতিবছর দু'বার করে ফসল পাওয়া যাবে।
আইইউবিএটি কলেজ অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেস অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারজানা সুলতানার তত্ত্বাবধায়নে গবেষকরা ২০২০ সাল থেকে বহু বর্ষজীবী ধানের গবেষণার কাজ তাদের নিজস্ব গবেষণা কেন্দ্রে চালিয়ে যাচ্ছেন। আইইউবিএটির কৃষি অনুষদ ২০১৯ সালে এমটিএ'র মাধ্যমে চীনের ইউনান ইউনিভার্সিটি থেকে বহুবর্ষজীবী ধানের বীজ সংগ্রহ করেন।
গত ১৮ মে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে এই বহু বর্ষজীবী ধান কাটার নবম পর্বের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। আরও উপস্থিত ছিলেন আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুলস্নাহ মিয়া, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) পরিচালক ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা, ইরি বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্রিডিং লিড, ইরি ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং বিটিভির মাটি-ও-মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকসহ আইইউবিএটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বহু বর্ষজীবী ধানে জাতগুলোর পরিচয় করিয়ে দেন এবং উৎপাদনের সাফল্য নিয়ে কথা বলেন ড. ফারজানা সুলতানা। তিনি বলেন, বহু বর্ষজীবী ধান সামগ্রিকভাবে এটি একটি টেকসই ফসল হিসেবে গণ্য হবে। কেননা প্রতিবার ধান চাষ করতে যে বীজ, পানি, সার, রাসায়নিক ও শ্রমের দরকার হয়- সেগুলোর খরচ বহুলাংশে কমিয়ে আনবে। পরিবেশগত দিক থেকেও এর ভূমিকা অনেক। কারণ ধান উৎপাদনে যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হয়, তা অনেকাংশে কমিয়ে আনবে, মাটির ক্ষয় রোধ করবে এবং মাটির গুণগত মান বৃদ্ধি করবে।
বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান, ইরি বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্রিডিং লিড এবং সভায় উপস্থিত অন্য অতিথিরা বাংলাদেশে আইইউবিএটি'র এগ্রিকালচার রিসার্চ ফিল্ডে বহু বর্ষজীবী ধানের অসামান্য পারফরম্যান্স দেখে প্রশংসা করেন এবং তারা এটির সাফল্য দেখতে চান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি