শিশুদের টিকাদানের ইপিআই কার্যক্রমকে ডিজিটাল পস্ন্যাটফর্মে রূপান্তরের মাধ্যমে এক বছরের নিচে সব শিশুকে চিহ্নিত করা এবং আরও নিখুঁতভাবে অধিকতর কাভারেজের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে টিকাদান কার্যক্রমে ই-ট্র্যাকার চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
সোমবার নগরীর পেনিনসুলা হোটেলের ডালিয়া হলে ইউনিসেফের সহায়তায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, 'ইমিউনাইজেশন ই-ট্র্যাকারের মতো একটি আধুনিক প্রযুক্তি বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রমে সংযোজন একটি যুগোপযোগী পদপেক্ষ। ইতোমধ্যে 'ভ্যাকসিন হিরো'র স্বীকৃতি এনে দিয়েছে বাংলাদেশের টীকাদান কার্যক্রমের সাফল্য। ই-ট্র্যাকার চালুর মূল উদ্দেশ্য নগরীতে টিকা না পাওয়া বা কম পাওয়া এবং ভাসমান শিশুদের খুঁজে বের করে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা। আমরা টীকাদানকে শতভাগে নিয়ে যেতে চাই। '
চসিকের ইপিআই কার্যক্রম অধিকতর জোরদারকরণের লক্ষ্যে ঝগঅজঞ ঐঊঅখঞঐ ইউ অ্যাপ-এর মাধ্যমে ইপিআই ঊ-ঞৎধপশবৎ এর কার্যক্রম চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া ২০ এপ্রিল থেকে এওঝ-ইধংবফ ঙহষরহব গরপৎড়ঢ়ষধহহরহম ্ জবঢ়ড়ৎঃরহম ইপিআই কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে ইতোমধ্যে চসিকের ১৩ হাজার শিশুকে ঝগঅজঞ ঐঊঅখঞঐ ইউ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করা হয়েছে। সোমবার এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলো।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান মায়া ভেন্ডেন্যান্ট, ইউনিসেফ চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান ফিল্ড অফিসার মাধুরী ব্যানার্জি, চসিকের স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের হেলথ্ স্পেসালিস্ট ডা. রিয়াদ মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ছালেহ্ আহম্মদ চৌধুরী, সলিম উলস্নাহ বাচ্চু, নাজমুল হক ডিউক, মো. ইসমাইল, সফিউল আজিম, আবদুস সালাম মাসুম, নুরুল আমিন, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, জাফরুল হায়দার চৌধুরী সবুজ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তসলিমা বেগম নুরজাহান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি