ডাকাতি করতে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ গ্রেপ্তার ৪
প্রকাশ | ২১ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতচক্রের 'মূল হোতা' আব্দুলস্নাহ। এই চক্রে ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে। চক্রটি গত ১৫ মে রাতে ডাকাতির উদ্দেশে বের হয়। ওই কিশোরীর ঘরে প্রবেশ করে। কিন্তু ঘরে মূল্যবান জিনিসপত্র না পেয়ে ক্ষোভে কিশোরীর হাত-পা বেঁধে বাড়ির পাশে একটি ফাঁকা ঘরে নেয়। সেখানে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র ধর্ষণ করে। ঘটনা কাউকে জানালে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় তারা।
সোমবার রাজধানীর কারওরান বাজার র?্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। এর আগে রোববার রাতে ওই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো- মো. আব্দুলস্নাহ (২৪), মো. মতিন (৩৫), চাঁন মিয়া (২৮) ও মো. আয়নাল (২৫)। তাদের কাছ থেকে
ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনসহ একটি দেশীয় ওয়ান শুটার গান, শাবল, দা, রামদা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আরাফাত ইসলাম বলেন, '১৫ মে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ডাকাতির উদ্দেশে ভুক্তভোগীর বাড়িতে যায় ওই চার জন। আব্দুলস্নাহ ও মতিন জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ভুক্তভোগী ও তার মায়ের ঘুম ভেঙে গেলে তারা চিৎকার করে। এতে অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করা হয়। পরে ঘরের দরজা খুলে দিলে চাঁন মিয়া ও আয়নালসহ অন্য সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রসহ ঘরে ঢোকে।'
তিনি বলেন, 'অভিযুক্তরা ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগীর মাসহ ঘরে উপস্থিত সবার হাত-পা ও মুখ বাঁধে। ঘরে মূল্যবান জিনিসপত্র না পেয়ে ক্ষোভে ভুক্তভোগীকে বাড়ির পাশের ফাঁকা ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে গুরুতর অবস্থায় কিশোরীকে রেখে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই কিশোরী মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে।'