শ্রমিক দলের মানববন্ধনে রুহুল কবির রিজভী

তারা উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে

প্রকাশ | ২১ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আন্তর্জাতিক চা দিবস উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী -স্টার মেইল
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'সরকারি দলের প্রত্যেকটি নেতা এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন বিদু্যৎ খাত থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে গেছে। বিভিন্ন উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে। টাকা পাচারের এই আরব্য উপন্যাসের কাহিনি প্রতিদিন আমরা সংবাদপত্রের পাতায় পড়ছি। তারা কী করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের করুণ কাহিনি জানবেন।' সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যার সানগস্নাস-ঘড়ির দাম লাখ টাকার ওপরে তিনি ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। তিনি কীভাবে রিকশাচালকদের কষ্ট বুঝবেন। তিনি কী জানেন, তারা একবেলা খায় নাকি দুই বেলা খায়? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, 'হঠাৎ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করে দিলেন ওবায়দুল কাদের সাহেব। তিনি নিজেই বলেছেন, তার হাতের যে ঘড়ির দাম অনেক টাকা। অনেক মানুষ বলে ৫০ লাখ টাকা। তিনি যে সানগস্নাস পড়েন সেটারও দামও লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যার সানগস্নাসের দাম এত, ঘড়ির দাম ৫০ লাখ টাকার ওপরে, তিনি কী জানেন রিকশাচালকরা একবেলা খায় নাকি দুই বেলা খায়? তিনি কি জানেন রিকশাচালকরা যে উপার্জন করে তা দিয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারে কিনা?' রিজভী বলেন, 'এই ব্যাটারিচালিত রিকশা নিশ্চয়ই কোনো দেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই আমদানির লাইসেন্স কে দিল? ঢাকাসহ প্রতিটি শহরেই আমি দেখেছি, ব্যাটারিচালিত যান চলাচল করছে। তাদের এই রোড পারমিশন কারা দিল? আপনার সরকারই দিয়েছে। এগুলো যারা ইমপোর্ট করেছে তারা আওয়ামী লীগের লোক। তারা আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী। আর যারা ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে তাদেরই দোষ হয়ে গেল?' তিনি বলেন, 'পেট ভরে বদহজম হবে তারপরও আপনাদের টাকা দরকার। চালকরা কিন্তু এমনি এমনি রিকশা চালাতে পারে না। আপনার প্রশাসনের লোকদের টাকা দিতে হয়। স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগকে চাঁদা দিতে হয়। এত ঘাটে ঘাটে টাকা দেওয়ার পরও যতটুকু তাদের উপার্জন হয়, সেটা দিয়ে কোনোরকমে তারা দিন যাপন করে। আর তাদের ওপরেই আপনারা স্টিমরোলার চালাচ্ছেন। তাদের মাথার ওপরই আওয়ামী লীগের তরবারি ঝুলছে। আপনারা গরিবের আহার কেড়ে নিয়ে রাজত্ব করবেন, স্বর্গে বসবাস করবেন ওই স্বর্গ থেকে আপনাদের বিদায় নিতেই হবে। ওই স্বর্গে আপনারা আর বেশি দিন বসবাস করতে পারবেন না।' শেয়ারবাজারেও নতুন করে ধ্বস নেমেছে উলেস্নখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, 'তরুণ শিক্ষিত যুবকরা, অল্প আয়ের মানুষেরা শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করছে। সেই শেয়ার মার্কেটেও নতুন করে এমন পতন হচ্ছে- ওই পতন থেকে আর শেয়ার মার্কেট মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। এতে বেকার হচ্ছে তরুণরা। তারা সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে।' জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, সহ-অর্থনৈতিক-বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।