এলপিজি সেক্টরে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার দাবি
প্রকাশ | ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) সেক্টরে দেশীয় শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি করেছে বাংলাদেশ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন অ্যান্ড কনর্ভাশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে বাংলাদেশ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন অ্যান্ড কনর্ভাশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সাধারণ সভায় সংগঠনটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সিরাজুল মাওলা বলেন, '২০২৩-২৪ সালের এনবিআরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় আমরা দুটি জোরালো দাবি উপস্থাপন করেছি। প্রথমত এলপিজি সেক্টরে মূলধনী যন্ত্রপাতি সরবরাহের ক্ষেত্রে দেশীয় শিল্পের কাঁচামালের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার এবং দ্বিতীয় দাবি ছিল এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশনকে ১০ বছরের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া। এছাড়াও ৭ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা, যাতে করে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির দাম আরও কমে আসে।'
তিনি আরও বলেন, 'এলপিজি ব্যবসার পরিধি সম্প্রসারণে সরকারি যানবাহন এলপিজিতে কনভার্ট করা, মোটরসাইকেল এলপিজিতে কনভার্ট করা, অটোরিকশা রাস্তায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।'
ইঞ্জি. মোহাম্মদ সিরাজুল মাওলার সভাপতিত্বে অফিস সচিব মো. মকবুল হোসেনের উপস্থাপনায় সাধারণ সম্পাদক মো. হাসিন পারভেজসহ কমিটির অন্যান্য নেতা অ্যাসোসিয়েশনের বিগত বছরের কার্য-বিবরণী এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
সভায় বক্তারা ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা, যাবতীয় লাইসেন্সিং জটিলতা দূরীকরণ, ভ্যাট প্রত্যাহারসহ যৌক্তিক দাবিসমূহ তুলে ধরেন এবং এলপিজি অটোগ্যাস ব্যবসার পরিধি সম্প্রসারণ করার জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।
বাংলাদেশ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন অ্যান্ড কনর্ভাশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিগত কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় আগামী দুই বছরের জন্য দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে সভাপতি পদে ইঞ্জি. মোহাম্মদ সিরাজুল মাওলা এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হাসিন পারভেজসহ মোট ২৩টি পদে পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সাধারণ সভায় সারাদেশ থেকে প্রায় ৫০০ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশনের মালিক, জ্বালানি বিষয়ক বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং এফবিসিসিআইর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে এলপিজি সরবরাহ কোম্পানিগুলোকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। বসুন্ধরা এলপিজির পক্ষ থেকে স্মারকটি গ্রহণ করেন বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. ফয়সাল আলম ভূইয়া।