৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
প্রকাশ | ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী রেশনিং পদ্ধতি চালু এবং বৈষম্যহীন নবম জাতীয় বেতন স্কেলসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন এবং তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমিতির নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে সমিতির মহাসচিব মো. ছালজার রহমান দাবিগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'সর্বশেষ ২০১৫ সালে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল দেওয়ার পর ১০ বছরে গ্যাস, বিদু্যৎ, পানি, ওষুধ, চিকিৎসা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের শতভাগ মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারি কর্মচারীরা অর্থকষ্টে জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অন্তর্র্বর্তীকালীন বিশেষ সুবিধা পাঁচ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করা, অবিলম্বে জাতীয় নবম বেতন স্কেল ঘোষণার বিকল্প নাই।'
তিনি বলেন, 'সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের বাইরে সব পদের জন্য এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন, ডিপেস্নামাধারীদের দশম গ্রেড দেওয়া, আগের মতো শতভাগ পেনশন চালু, টাইমস্কেল-সিলেকশন গ্রেড দেওয়া, অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর এবং ইনক্রিমেন্টের শেষ ধাপ বস্নক না রেখে নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট চালুর দাবি জানাচ্ছি।'
কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান বলেন, 'আগামী ২১ মে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া, ২৬-৩০ মে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে জনসংযোগ ও দাবি সংবলিত লিফলেট বিতরণ এবং ১ জুন প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।' দাবি আদায় না হলে পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানান তিনি।
বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি জাতীয় ও স্থানীয় নেতারা ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রফিকুল ইসলাম মামুন, সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের নূরনবী, হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সেলিম মোলস্না, মুগদা মেডিকেল কলেজের মনিরুল ইসলাম, ক্যানসার হাসপাতালের তাপস কুমার সাহা, মাহবুব, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মফিজুল ইসলাম পিন্টু, জাতীয় আর্কাইভের মনির হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।