দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন

এমপি ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ

প্রকাশ | ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন। এই ধাপে পাবনার তিনটি উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। ভোটগ্রহণের দিন এগিয়ে আসায় নির্বাচনী প্রচারণায় দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। তবে এরই মধ্যে ভাঙ্গুড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান এমপির ছেলে গোলাম হাসনাইন রাসেলের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ইতোমধ্যে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোরও ঘোষণা দিয়েছেন। ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দিন-রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রম্নতি। তবে তিন উপজেলার মধ্যে সবার নজর ভাঙ্গুড়া উপজেলায়। এই উপজেলায় মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ছেলে গোলাম হাসনাইন রাসেল। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বিপক্ষে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও দুইজন। এরা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাকি বিলস্নাহ এবং জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেছবাহুর রহমান রোজ। তবে এমপি ও তার ছেলের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে ইতোমধ্যে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান বাকি বিলস্নাহ। তিনি বলেন, 'বর্তমান এমপি ও তার ছেলে যেভাবে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছেন তাতে নির্বাচনে থাকা সম্ভব হয়নি। তাদের হুমকি-ধামকিতে আমার কর্মীরা মাঠে থাকতে পারেনি। যে কোনো মূল্যে আমার কাছ থেকে তাদের (কর্মী-মসর্থক) কব্জায় নিয়ে নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়িয়েছি।' আর অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেছবাহুর রহমান রোজ বলেন, 'প্রধান সমস্যা হলো- এতটাই প্রভাব বিস্তার করেছেন তারা (এমপি ও তার ছেলে) যে ভোটাররা আতঙ্কিত। ভোট কেন্দ্রে যাতে স্বতঃস্ফূর্ত ভোটার উপস্থিতি না হয় সে জন্য হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন তারা। যে কারণে ভোট চাওয়ার চেয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধই বেশি করতে হচ্ছে। আশা করি সব বাধা ঠেলে ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন।' তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এমপি পুত্র ও চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, 'শুধু এই উপজেলা নির্বাচন নয়, কোনো নির্বাচনেই এমপি প্রভাব বিস্তার করেননি। আর আমাকে এমপি পুত্র হিসেবে নয়, উপজেলার মানুষ ভালোবেসে প্রার্থী করেছেন। আপনারা সব জায়গায় খোঁজ নিলে জানতে পারবেন, যারা এসব অভিযোগ করছেন তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। যে কারণে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।' এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পাবনা-৩ আসনের এমপি মকবুল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। প্রসঙ্গত, পাবনার তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩৩৭ জন।