আজকের যায়যায়দিন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে মধ্যরাতে হলের ছাদে নিয়ে বেধড়ক মারধর ও শিবির অ্যাখ্যা দিয়ে এক সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হল প্রশাসন ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

তবে অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা।

ভুক্তভোগী সবুজ বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সহ-সভাপতি।

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই খোলা হলো ৪৪ জলকপাট

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের সহ-সভাপতি মো. আতিকুর রহমানসহ তার ৮-১০ জন অনুসারী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে রুম থেকে হলের ছাদে নিয়ে যায়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং একপর্যায়ে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দেন।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান বলেন, 'আমি সবুজ নামের কোনো শিক্ষার্থীকে চিনি না। আমার রুমে কিছুদিন আগে লুটপাট চালায় এই হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের অনুসারীরা। এ বিষয়ে আমি হল প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে মিথ্যার নাটক সাজিয়েছে তারা। আমি এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেবো এবং প্রয়োজন অনুসারে থানায় মামলা করব।'

এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'সবুজ নামের ওই শিক্ষার্থী এই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না। এতদিন সে দলীয় পরিচয়ে এ হলে অবস্থা করছিল। বৃহস্পতিবার তাকে শিবির বলে মারধর করেছে- এমন একটি লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখব এবং সত্যতা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'