আজকের যায়যায়দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন খান বলেছেন, নির্বাচনের আগে যে কথা বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে। এখন সরকার যদি ভাবে যে, মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে, তাহলে সব সমস্যার সমাধন হয়েছে, এটা সরকারের ভুল ধারণা। নির্বাচনে আগে যে কথা বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে।

শুক্রবার বিকালে সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নবী উলস্নাহ নবীর বাসায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকারের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, আটকের একটি মাত্র উদ্দেশ্য হলো এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দেবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার অধিকার হরণ করেছে।

তিনি বলেন, যারা বা যে প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করে থাকে, যেমন, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগসহ সরকার সেই সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে বিরোধীদলকে দমন, নিপীড়ন করেছে। সরকার জানে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া হয় তাহলে এ দেশের মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতির আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। এজন্য তারা বিরোধীদলগুলাকে কথা বলতে দিচ্ছে না। সুষ্ঠু নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে। এ সরকারের কোনো ভিত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এদেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদেরকে ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার শঙ্কিত ও ভীত। এজন্য সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ বলে দেবে এ সরকারের পরিণতি কি হবে! ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কি পরিণতি হয়। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই খোলা হলো ৪৪ জলকপাট

তিনি আরও বলেন, সরকার এদেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থা ভঙ্গুর করে দিয়েছে। দেশে আর সুস্থ ধারার রাজনীতি নেই। এখন আছে প্রতিহিংসা ও সংঘাতের রাজনীতি। দুষ্টু চক্রের রাজনীতি থেকে সরকারকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পথে হাটবেন। এটা শুধু আপনাদের জন্যই নয়, জনগণের জন্য মঙ্গলজনক।