উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এলজিইডি

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় লোহালিয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুর মাঝখানে ১০৭ মিটার স্টিলট্রাসসহ ৫৭৬ মিটার পিসি গার্ডার সেতু
গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সারাদেশে ব্রিজ-কালভার্ট, সড়কসহ নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করে উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেদের নিরলসভাবে নিয়োজিত রেখেছেন এলজিইডির প্রকৌশলীগণ। বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন যোগদানের পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানের কাজের গতিশীলতা বেড়েছে। রাজস্ব বাজেটের আওতায় এলজিইডি প্রতিবছর গড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পায়। এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন বলেন, 'এই অর্থ ব্যবহৃত হয় গ্রামীণ সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণে। এডিপি বাস্তবায়নে এলজিইডি প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে থাকে। এই টাকা ব্যবহার করে পলিস্ন, নগর এলাকায় সড়ক যোগাযোগ, আর্থ-সামাজিক এবং বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। এছাড়া দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। এলজিইডি নিজের কাজ ছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ও বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো নির্মাণ করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ও সঠিক পথ নকশায় বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উঠে এসেছে।' তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দেশ যে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে এলজিইডি তার অংশীদার। সমৃদ্ধির এই অভিযাত্রায় গ্রামীণ ও নগর অবকাঠামো উন্নয়নে এলজিইডির সম্পৃক্ততা ব্যাপক। এলজিইডি সরকারের একটি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত। টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত গুণগতমান অক্ষুণ্ন রেখে অবকাঠামো নির্মাণ। কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে প্রতিবছর এলজিইডির প্রকৌশলী এবং নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বর্তমানে নির্মাণ শ্রমিকদেরকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। কাজের গুণগতমান রক্ষায় প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পাদনের জন্য দেশের সকল জেলায় রয়েছে এলজিইডির নিজস্ব মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি। নির্মাণ কাজে ব্যবহারের পূর্বে সাইটে মজুতকৃত নির্মাণ সামগ্রীর মান এলজিইডির ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। আর যেগুলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেই, সে সকল নির্মাণ সামগ্রী বিভিন্ন কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা করা হয়।' তিনি আরও জানান, 'সম্প্রতি এলজিইডি প্রকৌশলীগণের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি, কর্তৃক ৫১ দফা দিকনির্দেশনা সম্বলিত একটি পুস্তুক প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনাটি সময়োপযোগী-যুগোপযোগী ও বাস্তব সম্মত। বইটির দিকনির্দেশনা এলজিইডির সকল প্রকৌশলীগণকে অনুসরণ করে কাজ করছে।' সংবাদ বিজ্ঞপ্তি