ঢাকায় তিন জঙ্গি গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৫ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন কুচি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রশিক্ষিত তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তাররা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্য। তাদের চার দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ। তিনি বলেন, গত ১৩ মে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) গোয়েন্দা তথ্য ও সহযোগিতায় ঢাকার কল্যাণপুর এবং গাবতলী এলাকায় অভিযান চালায় ডিবির লালবাগ বিভাগ। অভিযানে গ্রেপ্তার হয় রানা শেখ ওরফে আমির হোসাইন, মশিউর রহমান ওরফে মিলন তালুকদার ও হাবিবুর রহমান। তাদের কাছে সামরিক প্রশিক্ষণের ভিডিও পাওয়া গেছে। চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের। তারা ভারি অস্ত্র চালনায় পারদর্শী। গ্রেপ্তার আমির হোসাইন ওরফে রানা শেখ মার্শাল আর্টে বস্ন্যাক বেল্টপ্রাপ্ত। তিনি ২০০২ সালে হুজি (হরকাতুল জিহাদ) নেতা ও ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত মাওলানা আব্দুর রউফের কাছে সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ময়মনসিংহে যান। জেলাটির ভালুকার একটি মাদ্রাসায় পড়ার পাশাপাশি সামরিক প্রশিক্ষণ নেন। ২০০৩ সালে বাবা, মামা ও ভগ্নিপতিসহ তার পরিবারের মোট ১৮ জন সদস্যকে নিয়ে হুজি নেতা মাওলানা আব্দুর রউফের সঙ্গে বৈঠকের সময় ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তিনি আলফা ইসলামিক লাইফ ইন্সু্যরেন্স কোম্পানির ইউনিট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। তিনি পাহাড়ে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য ৩ সদস্যকে ইতোমধ্যেই বান্দরবানে কুকি চীনের সন্ত্রাসীদের কাছে পাঠান। তাদের কাছে কিস্তিতে লক্ষাধিক টাকাও পাঠিয়েছেন। ডিআইজি মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ জানান, গ্রেপ্তার মশিউর রহমান প্রথমে ইসলামিক শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সদস্য ছিলেন। ২০০২ সালের দিকে হুজির সদস্য হিসেবে তিনিও ময়মনসিংহে মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত হুজি নেতা আব্দুর রউফের মাদ্রাসায় যান। সেখানে সামরিক ও আন আর্মড কমব্যাট বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। ২০১৩ সালে হুজির অন্য নেতাদের সঙ্গে গ্রেনেডসহ ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার হন। সাড়ে ৪ বছর জেল খেটে বের হন। পাহাড়ি বৈরী পরিবেশে কমান্ডো হিসেবে টিকে থাকাসহ নানা বিষয়ে ৮ মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ নেন কেএনএফের কাছে। ২০২১ সালের শুরুর দিকে তিনি প্রশিক্ষণ শেষ করে সমতলে ফিরে আসেন। গ্রেপ্তার অপরজন হাবিবুর রহমান নতুন করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটিতে প্রবেশ করেছেন। তিনি আলফা ইসলামিক লাইফ ইন্সু্যরেন্স কোম্পানির কর্মী হিসেবে গ্রেপ্তার আমির হোসেনের অধীনে কাজ করতেন। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আরও জানান, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি), আনসার আল ইসলাম ও জামা'তুল মুজাহিদিনের (জেএমবি) জেল থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত এবং পলাতক বেশ কিছু সদস্য মিলে নতুন সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া গঠন করে।