শান্তি চুক্তি হলেও পাহাড়ে এখনো আস্থা তৈরি হয়নি

প্রকাশ | ১২ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পার্বত্য শান্তি চুক্তি হলেও পাহাড়ে এখনো আস্থা তৈরি হয়নি বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্টজনরা। যখন সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারে নানা বিদ্রোহী জনগোষ্ঠীর উত্থান ও সংঘর্ষ চলছে, এমন সময় কুকি-চিনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এটি কেবল অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে নয়, বাইরে থেকেও এর কোনো পৃষ্ঠপোষকতা আছে কিনা, তা যাচাই করা দরকার বলে মনে করেন তারা। শনিবার রাজধানীর বনানীতে, 'অশান্ত পাহাড়ি জনপদ : সহিংসতা বনাম সম্প্রীতি' শীর্ষক সম্পাদকদের শীর্ষ সংগঠন এডিটরস গিল্ডের এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন বিশিষ্টজনরা। বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানাজামা লুসাই বলেন, 'সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে বান্দরবানে, এ রকম সহিংসতা আমরা এর আগে দেখিনি। বান্দরবানে যতগুলো গোষ্ঠী আছে, এর মধ্যে কুকিও নাই, চিনও নাই। তাহলে কী কারণে তারা এই সংগঠন করল? আমার বোধগম্য নয়। নাথান বম যে আড়ালে থেকে এই কাজ করবে, আমরা কখনো ভাবিনি। তাদের উদ্দেশ্য কী, সেটা বম বলতে পারবে। আমরা স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এটা নিয়ে ভাবি না। আমরা চাই, পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজমান থাক।' চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখক, গবেষক ও শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ বলেন, তাদের আচরণের মধ্যে হটকারি ব্যাপার আছে, তা স্পষ্ট হলো। তারা যদি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে এগোত, তাহলে জনসংহতি সমিতির আলোচনা উপেক্ষা করে অস্ত্রের দিকে যেত না। তাদের জন্য ভালো হতো আলোচনা চালিয়ে যাওয়া এবং তারা যদি চাপ দিতে চায়, সেটাও রাখা। পাশের মিয়ানমারের নানা দিকে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছিল। ঠিক এ ধরনের একটি অবস্থায় বাংলাদেশের মতো এ রকম উন্নয়নশীল দেশে নানা সমস্যা চাপিয়ে দেওয়া হয় বাইরে থেকে। আমি এ ঘটনাকে স্থানীয় আঙ্গিকে না দেখার পক্ষে। আমাদের দেখতে হবে, বাইরে থেকে কোনো কিছু করা হচ্ছে কিনা।