শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১

রেশনিং চালুসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের

যাযাদি রিপোর্ট
  ১১ মে ২০২৪, ০০:০০
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রেশনিং ব্যবস্থা চালুসহ ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ ও সরকারি কম্পিউটার পারসোনেল অ্যাসোসিয়েশন মানববন্ধন করে -ফোকাস বাংলা

রেশনিং পদ্ধতি চালু ও বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল ঘোষণাসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্যপরিষদ।

মানববন্ধনে সরকারি কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, 'দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবার চালাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আপনি এদেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। আপনি এদেশে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলসহ অনেক বড় বড় কাজ করেছেন। আপনার কাছে একটাই দাবি সেটি হলো, সচিবালয়ের ন্যায় যারা বাইরে কর্মরত আছি আমাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। বর্তমান সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়ি ভাড়া, রেশনিং পদ্ধতি চালু, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা ও টিফিন প্রদানের জন্যও অনুরোধ জানান তারা।

কর্মচারীদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে পে-কমিশন গঠনপূর্বক বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্র্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করা, রেশনিং পদ্ধতি চালু এবং ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখা, সচিবালয়ের ন্যায় সব দপ্তর, অধিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পদ ও পদবি পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করা, টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল এবং সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচু্যইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুইটি বা আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে ১০০ শতাংশ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক ওই পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা।

এছাড়া বস্নক পোস্টে কর্মরত-কর্মচারীসহ সব পদে পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করা, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করা, টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদ মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।?

এ ছাড়া বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সব ভাতাদি পুনর্নির্ধারণ করে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করার দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি ও সমন্বয়ক খায়ের আহম্মেদ মজুমদার, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সমন্বয়ক ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ গাজীউল হক চৌধুরী, বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল হালিমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে