প্রশ্নফাঁস :বিমানের ডিজিএমসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশ | ১১ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক ডিজিএম মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ারসহ ৩০ জনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। বিমানের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে অধিকতর তদন্ত করে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। শুক্রবার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সম্প্রতি মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুর রহমান এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে মামলার ঘটনা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় না পড়ায় পেনাল কোডের ৪২০/৪০৩/৪০৬/৪১১/১০৯ ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে অন্য আসামিরা হলেন- বিমানের শিডিউলিং সুপারভাইজার মাহবুব আলম শরীফ, সিকিউরিটি গার্ড আইউব উদ্দিন, এমটি অপারেটর মহসিন আলী, মিজানুর রহমান, ফারুক হোসেন, নজরুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাসুদ, মো. মাহবুব আলী, এনামুল হক, মাহফুজুল আলম, ট্রাফিক হেলপার আল আমিন, আ. মালেক, আলমগীর হোসেন, গাড়িচালক আব্দুলস্নাহ শেখ, সাজ্জাদুল ইসলাম, এমএলএসএস তাপস কুমার মন্ডল, জাহিদ হাসান, হারুন অর রশিদ, সমাজু ওরফে সোবাহান, জাকির হোসেন, বিএফসিসি অপারেটর সুলতান হোসেন, মুরাদ শেখ ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ বেতারের গাড়িচালক ফারুক হোসেন, জুয়েল মিয়া, রাজিব মোলস্না, অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন ও হেলপার জাবেদ হোসেন। প্রশ্ন ফাঁসের এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর লালবাগ জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর শরিফুল ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ২২ জুন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী ৩০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট জমা দেন। পরে বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইবু্যনালে বদলি করা হয়। তবে গত ৭ আগস্ট ঢাকার সাইবার ট্রাইবু্যনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াত এ মামলার চার্জশিট আমলে না নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০২২ সালের ২১ অক্টোবর বিকাল ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০০ চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে তা স্থগিত করা হয়। পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে কিছুক্ষণ পর প্রার্থীরা কেন্দ্র থেকে চলে যান। অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ২১ অক্টোবরের ১০ পদের পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার পদগুলো ছিল- জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি-প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র মেকানিক জিএই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) ও জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল)।