সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দেশে চাহিদার চেয়ে বিদু্যৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেশি :নসরুল হামিদ ম যাযাদি ডেস্ক বর্তমানে দেশে বিদু্যতের চাহিদার চেয়েও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি উলেস্নখ করে বিদু্যৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল দেশে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদু্যৎ উৎপাদন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য আব্দুলস্নাহ নাহিদ নিগারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশে বিদু্যতের চাহিদার চেয়েও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদু্যৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জানুয়ারি ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদু্যৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদু্যতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ বছরের ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদু্যৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট। তিনি আরও জানান, চাহিদা অনুযায়ী বিদু্যৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদু্যৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদু্যৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদু্যতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদু্যৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হব। ৬ মাস বন্ধ থাকবে কমলাপুর-টিটিপাড়া সড়কের একাংশ ম যাযাদি রিপোর্ট ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলের (ম্যাসর্ যাপিড ট্রানজিট লাইন-৬) মতিঝিল-কমলাপুর অংশের সম্প্রসারণ কাজ চলছে। এ প্রকল্পের অধীনে কমলাপুরে মেট্রোরেল স্টেশন নির্মাণ কাজের সুবিধার্থে কমলাপুর-টিটিপাড়া সড়কের দুই লেনের মধ্যে একটি ছয় মাস বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, যে লেনটি চলমান থাকবে সেটা দিয়ে শুধু টিটিপাড়া থেকে কমলাপুর যাওয়া যাবে। কমলাপুর থেকে টিটিপাড়াগামী যানবাহনগুলোকে বাইপাস সড়ক ব্যবহার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, স্টেশনের প্রথমতলার নির্মাণ কাজের সময় এই লেনটি দিয়ে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হবে। তাই একটি লেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমতলার নির্মাণ কাজ শেষ করতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের দিকে। গত জুলাই পর্যন্ত উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৮১ দশমিক ৭০ শতাংশ। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। প্রথমে মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ছিল প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। পরে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণসহ আনুষঙ্গিক কাজে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা। সর্বশেষ ব্যয় প্রস্তাব অনুযায়ী জাইকা দেবে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।