চলতি বোরো মৌসুম

৩২ টাকায় ধান, ৪৫ টাকায় চাল কিনবে সরকার

প্রকাশ | ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০

বিশেষ প্রতিনিধি
ওএমএসের ট্রাকসেল থেকে ন্যায্যমূল্যে চাল ও আটা কিনছেন ক্রেতারা। ছবিটি মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়ারী থেকে তোলা -ফোকাস বাংলা
চলতি বোরো মৌসুমে দেশের বাজার থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল ও আতপ চাল এক লাখ ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকায় এবং সেদ্ধ চাল ৪৫ টাকায় ও আতপ চাল ৪৪ টাকা কেনা হবে। সব মিলিয়ে এবার সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার ধান-চাল কিনছে সরকার। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত ধান-চাল কেনার কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। মঙ্গলবার থেকে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। তবে জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। এ দিকে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য বিলম্ব হওয়ার কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে কৃষকরা উৎপাদন খরচে চেয়ে কম দামে ধান বিক্রি করেন। সরকার ধান না কেনায় ফরিয়াদের কব্জায় চলে যায় ধানের বাজার। কৃষকরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হন। দেরিতে হলেও সরকার এবার ১২৮০ টাকা প্রতি মণ ধানের ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেছে। এতে পড়তি বাজার কিছুটা চাঙা হতে পারে বলে আশা করছেন কৃষক। এর আগে রোববার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) বৈঠকে এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বৈঠকে ধান-চালের পাশাপাশি ৩৪ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি। ২০২৩ সালে একই মৌসুমে ধান ৩০ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা কেজি দরে কেনা হয়েছিল। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, 'এ পর্যন্ত হাওড়ে ৯৮ ভাগ ধানকাটা হয়ে গেছে। রংপুর, দিনাজপুর অঞ্চল ১০ ভাগ এবং সব মিলেয়ে ৬৬ ভাগ ধানকাটা হয়ে গেছে। চালের বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা শুরু হয়েছে। মিলার ও চাল ব্যবসায়ীরা যত দ্রম্নত জাতের নাম লিখবে তত ভালো। নিয়ম লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' এবারে বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ নিয়ে কোনো কৃষক অপমানিত হলে, হয়রানির শিকার হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন খাদ্যমন্ত্রী।