জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় ভ্যানচালক আবু সালাম (২০) হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃতু্যদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃতু্য না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে মৃতু্যদন্ড কার্যকর করার নির্দেশনা প্রদান করে রায় দেন আদালত। এ রায় শোনার পরই অজ্ঞান হয়ে পড়েন হাফিজার নামে এক আসামি। পরে তাকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক আবু ছিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জয়পুরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদ, মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোস্তাক আহম্মেদ ও জসিম উদ্দিনের ছেলে হাফিজার রহমান। রায় ঘোষণার সময় হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হারুন অর রশিদ আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১২ জানুয়ারি রাতে জয়পুরহাট সদরের দুর্গাদহ বাজার থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আবু সালামের ভ্যান ভাড়া করে কালাই যান। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা আবু সালামকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ কালাই পৌরসভার আওড়া গ্রামের জনৈক আমজাদ হোসেনের পারিবারিক কবরস্থানে পুরনো কবরে লুকিয়ে রেখে ভ্যান নিয়ে পালিয় যায়। পরদিন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে কালাই থানার তৎকালীন ওসি মীর্জা মো. শাহাজাহান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালাই থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আ. সাত্তার ২০০৫ সালের ৯ জুলাই আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ৭ জনের সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি ও এপিপি গকুল চন্দ্র মন্ডল, শামীমুল ইমাম শামীম, খাজা শামসুল ইসলাম বুলবুল এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. আহসান হাবিব চপল ও শহিনুর রেজা শানু।