বিচারকের স্বাক্ষর জাল
দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল পেছাল
প্রকাশ | ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে মিথ্যা সার্টিফিকেটে মোটরযান ফেরত দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৯ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১০-এর বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মোটরযান শাখার ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফুয়াদ উদ্দিন এবং কনস্টেবল আবু মুছা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী ১০ নম্বর আদালতের পাশাপাশি মোটরযান সম্পর্কিত মামলা পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে ওই শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই ফুয়াদ উদ্দিন অন্যান্য নথির সঙ্গে নন-এফআইআর দুটি মামলা বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেন। কিন্তু আসামি না থাকায় বিচারক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি।
পরে বিচারক জানতে পারেন, এসআই ফুয়াদ উদ্দিন ও জিআরও আবু মুছা অন্যান্য সহযোগীর যোগসাজশে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে পরোয়ানা ফেরত কাগজে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেরা স্বাক্ষর দিয়ে মামলা দুটির জব্দ করা আলামত আসামিদের দিয়ে দেন, যার ফটোকপি নথিতে সংযুক্ত করেন। তা ছাড়া ওই মামলার নথিতে বিচারকের কোনো স্বাক্ষর নেই এবং কোনো জরিমানা করেননি। বিচারক ইতোমধ্যে জেনেছেন, এসআই ফুয়াদ উদ্দিন ও জিআরও আবু মুছা তাদের অন্য সহযোগীদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একই ধরনের অপরাধ করে আসছেন।