দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে শাস্তি পেতে হবে :কাদের

প্রকাশ | ০৭ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তির হীরকজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কিন্তু আমাদের গত জাতীয় সম্মেলনসহ সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আমন্ত্রণপত্র বিএনপিও পাবে। এটা আমি বলতে পারি। অন্য রাজনৈতিক দলও পাবে। সোমবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিক এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। উপজেলা নির্বাচনে অনেক সংসদ সদস্য আত্মীয়-প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের যারাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদের সময়মতো কোনো না কোনোভাবে শাস্তি পেতে হবে। মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সাংগঠনিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সারাদিন স্বাধীনতার কথা বললেও গণতন্ত্র ধ্বংস করছে বলে বিএনপি নেতা মঈন খানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি তেইশ লাখ ভুয়া ভোটার, হঁ্যা-না ভোটে ১১৪ শতাংশ হঁ্যা ভোট, এসব কিন্তু তাদেরই সৃষ্টি। নির্বাচন কমিশন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অধীন ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সেটি নিজের অফিস থেকে নিযুক্ত করেছেন। আলাদা প্রশাসন দিয়েছেন, আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছেন। সংসদে আইন করে স্বাধীন সত্ত্বায় অধিষ্ঠিত করেছেন। ৮২টির মতো সংশোধনী আনা হয়েছে। এগুলো করেছেন কে? তাহলে প্রয়াসটা কার আছে? শেখ হাসিনাই এই কাজটা করেছেন। সম্পাদকমন্ডলীর সভায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আলোচনা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেছি। এর মধ্যে আগামী ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সেদিন সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। থানা, জেলা, উপজেলা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে। বিশেষ প্রার্থনা করা হবে বায়তুল মোকাররম, চার্চ ও জাতীয় মন্দিরে। বিকালে আলোচনা সভা হবে ঢাকা জেলা মিলনায়তনে। এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে ১৬ মে অসচ্ছল ও গরিব মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হবে। দিবসটিতে দেশব্যাপী আলোকসজ্জা করা হবে না। তবে ব্যানার পোস্টার, বিলবোর্ড করা হবে। প্রেস ক্লাব, সোনারগাঁও, বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে আলোকসজ্জা করা হবে। বিরাট উৎসাহ-উদযাপনের মধ্য দিয়ে ২৩ জুন ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হীরকজয়ন্তী পালন করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হীরকজয়ন্তী আমরা ব্যাপকভাবে পালন করার চিন্তা-ভাবনা করছি। এটা থানা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা করা হবে ২৩ জুন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ দলের নেতাদের, ইন্টেলেকচুয়াল মানুষকে আমন্ত্রণ জানাব। আলোচনা সভার আগে কালচারাল অনুষ্ঠান হবে। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করবে দলটি। সভায় আরও ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপুমনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি বিন মর্তুজা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।