বিএনপির ভাবনায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন কাদের :রিজভী

প্রকাশ | ০৭ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী -ফোকাস বাংলা
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খুব বক বক করছেন, বেশি কথা বলছেন, মনে হচ্ছে বিএনপির জন্য খুব মায়াকান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হাবীব উন নবী খান সোহেল মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়াকান্না করে ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম। তিনি (ওবায়দুল কাদের) মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ, বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা যে ভেতর থেকে ধসে গেছে, ভেঙে গেছে এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মানুষ তিন বেলা খেতে পায় না। আজ মায়ের গর্ভ থেকে যে শিশুটা জন্মগ্রহণ করছে তার ঋণ হচ্ছে এক লাখ টাকারও বেশি। তারপরও তিনি (শেখ হাসিনা) ঋণ নিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা। জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া। এই কারণে তাদের জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণ খেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রম্ন, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে, টাকা বিদেশে পাচার করে- তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। তারাই যদি এই সরকার এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকে তাহলে তো শেখ হাসিনা জনগণের সমর্থন পাবে না। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সে জন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছেন এবং তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর তো ২০ থেকে ২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছেন। তারা যদি দাঁড়াতে পারেন তাহলে আমরা বাদ যাব কেন। এই নির্বাচনে জনগণ তো যাবেই না এবং অন্য কেউ চান্স পাবে না। কারণ অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন এবং ব্যবসায়ীরা নমিনেশন কিনছে। দলের সংকট হলে তারা তো থাকবে না কিন্তু তারাই এখন দখল করে আছে। ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভাঙা কলসি বাজে বেশি। আপনাদের আওয়ামী লীগ ভাঙা কলসি। তাই আপনারা বাজছেন বেশি করে। জনগণকে যা দেখিয়েছেন, যা বলেছেন সব মিথ্যা। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল,পদ্মা সেতু দেখান এইবার বাজেটে লক্ষ-কোটি টাকার ঋণ চাচ্ছেন কেন? জনগণের গলায় পা দিয়ে বিদু্যতের বিল, গ্যাসের বিল, পানির বিল বাড়াচ্ছেন কেন? ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি জাহিদুল কবির, সাদরুজ্জামান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ। লিফলেট বিতরণ এদিকে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সমর্থনে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার দুপুরে এ লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহ-অর্থনৈতিক-বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম মোল্যা, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিশু, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, ছাত্রদল নেতা রাফসান হোসেন, মুশফিক ও আশরাফুল আসাদ প্রমুখ।