বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, একদলীয় শাসনে বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যম অনুপস্থিত। গণতন্ত্র না ফিরলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও ফিরে আসবে না।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বিএনপি সমর্থিত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।
মঈন খান বলেন, গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতার জন্য আজ সংগ্রাম চলছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের সব দায়দায়িত্ব সরকারের। কারণ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বাধা দেয় সরকার। নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দাবি করলেও সরকার গণমাধ্যের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে একদলীয় শাসন কায়েম হয়। সেখানে মুক্ত গণমাধ্যম আশা করা যায় না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা বিএনপির মূল লক্ষ্য।
মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ যে আদর্শে সৃষ্টি হয়েছিল সেই গণতন্ত্র। এই গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ হচ্ছে মুক্ত সংবাদ মাধ্যম। সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে আজকে বাংলাদেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নতুন করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রতিজ্ঞা।
গণমাধ্যম বা মিডিয়া সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়ে অধিকতর শক্তিশালী। এ কথা বলার কারণ, সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক তারা যদি অন্যায় করে সেই অন্যায়কে প্রকাশ করে মিডিয়া সেই রাষ্ট্রকে গড়তে পারে, ভাঙতে পারে। আজকের সরকার এই সত্যকে যত শিগগিরই উপলব্ধি করবে তাদের জন্য তত মঙ্গল।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি খায়রুল বাশার, একেএম মহসিন, সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, এহতেসামুল হক শাওন, কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা রফিক মুহাম্মদ, রাশেদুল হক, দিদারুল আলম, শাহনাজ পলি, খন্দকার আলমগীর হোসেন, সাঈদ খান বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান
এদিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে এর পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেছে বিএনপি নেতাকর্মী। রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে পথচারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের জনগণকে আহ্বান জানাই, আপনারা এই ডামি সরকারের অধীন ডামি নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করবেন না। এখানে যারা উপস্থিত আছেন সবাই কোনো না কোনো উপজেলার বাসিন্দা, আপনারাও কেউ ভোট দেবেন না।
রিজভী বলেন, বর্তমানে দেশের জনগণ ভোট দিতে পারে না। তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বানাতে পারে না। দেশের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বর্তমান ডামি নির্বাচনের সরকারের প্রধান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডাক্তার জাহিদুল ক?বির, যুবদলের সহ-সভাপতি জাকির সিদ্দিকী, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক কাউসার প্রমুখ।