বস্তিবাসীর জন্য ৯ 'কুলিং জোন' করবে ডিএনসিসি
প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বস্তিবাসীকে গরমে স্বস্তি দিতে রাজধানীতে ৯টি কুলিং জোন করা হবে। এই জোনে শেড ও ফ্যান থাকবে। ইতোমধ্যে সমাজ উন্নয়ন বিভাগকে কুলিং জোন করে দিতে বলেছি।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরায় রিকশা চালকদের মধ্যে ছাতা, পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আতিক বলেন, 'আমাদের ১১টি বস্তি আছে, চিফ হিট অফিসার আমাকে গতকাল বলেছেন এ মুহূর্তে বস্তিবাসীকে আরাম দেওয়া দরকার। বস্তিবাসী কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষ। তারা যদি দিনে-রাতে বিশ্রাম না নিতে পারে, তাহলে কর্মক্ষমতা অনেক হারিয়ে ফেলবে এবং তাদের উপার্জনে বিঘ্ন ঘটবে।'
গরমে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে করপোরেশনের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় মিস্ট ছড়াচ্ছি। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তিনটি করে রিকশা-ভ্যান দেওয়া হয়েছে; বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছি আমরা। আমাদের ১০টি ব্রাউজার আছে। এই ব্রাউজার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা পানি ছিটাচ্ছি।'
মেয়র বলেন, 'সিটি করপোরেশন নিবন্ধিত যত রিকশা রয়েছে, সেগুলোর সব চালকের কাছে ধাপে ধাপে এই ছাতা পৌঁছে দেওয়া হবে। পানি পানের যে বোতল বিতরণ করা হচ্ছে সেটি আধা লিটারের। এর ফলে এটি সহজে বহনযোগ্য এবং প্রয়োজনে এতে স্যালাইন বানিয়ে চালকরা পান করতে পারবেন।'
এ সময় বিত্তবানদের বাসার সামনে কল স্থাপনের আহ্বান জানান আতিক। তিনি বলেন, 'কল লাগিয়ে দিলে সবাই কিন্তু পানি খেতে পারে।'
পাশাপাশি দোকান মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের ড্রিংকিং ওয়াটার সরবরাহ করার অনুরোধ জানান তিনি।
নগরীর পার্কগুলোতে আর্টিফিশিয়াল মিস্ট তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আতিক বলেন, 'ইতোমধ্যে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২১টি পার্কে মিস্টার দিয়ে একটি কর্নার করে দিচ্ছি, যাতে সবাই এসে বিশ্রাম নিতে পারে।'
এর আগে, ৪ নম্বর সেক্টর পার্কের সংস্কার কাজ সমাপ্ত করে ওয়াকওয়ে উদ্বোধন করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান প্রমুখ।