উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস, হাওড়ে দ্রম্নত ধান কাটতে মাইকিং

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০

বিশেষ প্রতিনিধি
দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সুনামগঞ্জের হাওড় এলাকায় বোরো ধান দ্রম্নত কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে হাওডের ধান যদ দ্রম্নত সম্ভব কাটার অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। হাওডে এবার আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পুর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং মৌলভীবাজার জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এ সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোতে সমতল বিশেষ দ্রম্নত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট, লুভাছড়া নদীন পানি লূভাছড়া এবং সারিগোয়াইন নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি সমতল স্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে। প্রাক মৌসুমি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে। সুরমা নদীর পানি সেলেট পয়েন্টে সমতল বৃদ্ধি পেয়ে স্বল্প মেয়াদে প্রাক মৌসুমি বিপদমীমার ওপরে অবস্থান করতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানানো হয়েছে, সুনামগঞ্জে এবার দুই লাখ ২২ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে বোর ধান হয়েছে। জেলায় উঁচু ও নিচু স্থান মিলে ৮৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ ধান কাটা শেষ। নিচু এলাকার ৯৭ দশমিক ৬ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৗশলী মামুন হাওলাদার জানান, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে এবং উজানের মেঘালয়ে এই মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারী এবং অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা আছে। এ কারণে নদ-নদীর পানি বাড়বে। হাওডে বন্যার আশঙ্কা আছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে, হাওড থেকে মাড়াই করা ধান ও খড় উঁচু স্থানে নিরাপদে এনে রাখার জন্য মাইকে প্রচার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে নিজ নিজ উপজেলায় মাইকিং করতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, পর্যবেক্ষণাধীন নদ-নদীর ৪৬টি স্টেশনের মধ্যে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ৩১ পয়েন্টে। আর ১২টি পয়েন্টে পানি কমছে। অপরিবর্তিত রয়েছে তিনটি স্টেশনের পানি। এ ছাড়া সারি গোয়াইন ও সুরমা নদীর পানি দুইটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।