ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সদ্য যোগ দেওয়া জেলার নাশির আহমেদ জানিয়েছেন, 'নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দিদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করেছি দীর্ঘদিন। ঢাকা কারাগারে যোগদানের পর আমি কারাগার পরিদর্শন করেছি। এখন থেকে জেল কোড অনুযায়ী কারাগারের সব কর্মকান্ড পরিচালিত হবে।'
বন্দিদের সঙ্গে মানবিক আচরণ, খাবারে মান উন্নতসহ সব সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কারাগারে দেখতে আসা বন্দিদের স্বজনদের বসার ও খাবার পানির ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকা কারাগারের অভ্যন্তরে স্থাপন করা ডে-কেয়ার সেন্টার গোছানো এবং স্মার্ট করা হবে। এর মাধ্যমে ৬ বছরের কম বয়সি শিশুরা বন্দি মায়েদের সঙ্গে থেকে তাদের মানসিক বিকাশের জন্য পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিনোদনের সুবিধা পাবে এবং খাবারের মানও বৃদ্ধি করা হবে।
জেলার নাশির আহমেদ বলেন, 'প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খাদ্য তালিকা রাখা ও কারাবন্দিদের সৎ সাহস ও মনোবল বৃদ্ধির জন্য প্রতি সপ্তাহে একবার তাদের প্রত্যেকের সমস্যার কথা শুনে তা তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য স্থাপন করা হবে মুক্তমঞ্চ। বন্দিদের বিনোদনের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের আয়োজন করাসহ কারাগারের সব দপ্তরের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য নিরলস কাজ করব।'
প্রসঙ্গত, নিজের কর্ম-দক্ষতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে একের পর এক ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পদোন্নতির পেয়েছেন জেলার নাশির আহমেদ। তার নতুন কর্মস্থল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। যা রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দির ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন। গত ২২ এপ্রিল (সোমবার) কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলামকে কুমিলস্না কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং নারায়ণগঞ্জ কারাগারের জেলার নাশির আহমেদকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জেলার পদে বদলি করে পদায়ন করা হয়েছে।