হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ | ০৩ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
খালেদা জিয়া
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরে যান তিনি। রাত সোয়া ৮টার দিকে হাসপাতাল থেকে রওনা দিয়ে ৯টার দিকে গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় পৌঁছান খালেদা জিয়া। এ সময় তার গাড়িবহরের সঙ্গে ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দলীয় প্রধানের হাসপাতালে থেকে বাসায় যাওয়ার খবরে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাসা ও হাসপাতাল এলাকায় ভিড় করেন। বাসায় যাওয়ার পথে নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে থেকে তার মুক্তি চেয়ে নানা স্স্নোগান দেন। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, 'বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডে বিকাল ৪টায় বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ৮টা ২২ মিনিটে তিনি হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।' খালেদা জিয়ার এক চিকিৎসক বলেন, 'কিছুদিন পর পর খালেদা জিয়ার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হয়। এ জন্য বুধবার তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। 'মাঝে মধ্যে তার শ্বাস কষ্ট হয়। এ জন্য তাকে অক্সিজেন দেওয়ার দরকার হয়। তাছাড়া মাঝে মধ্যে ফুসফুসে পানি জমে। সে পানি বের করতে হয়।' গত বুধবার সন্ধ্যায় গুলশানের বাসা 'ফিরোজা' থেকে বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন। রাতেই খালেদা জিয়ার বেশ কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে মেডিকেল বোর্ড প্রথমে তাকে সিসিইউতে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর বৃহস্পতিবার তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করে। আর্থরাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার সিরোসিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আত্রান্ত ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া সর্বশেষ গত ৩০ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেসময় চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে রেখে দুইদিন চিকিৎসা দেন। এরপর তাকে বাসায় চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে হাসপাতালের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। তার সেই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার।