হজের ভিসা আবেদনের সময় ৭ মে পর্যন্ত বেড়েছে
ম বিশেষ প্রতিনিধি
হজের ভিসা আবেদনের সময় বেড়েছে। আগামী ৭ মে পর্যন্ত ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন চূড়ান্ত নিবন্ধনকারী হজযাত্রীরা। হজের ভিসার জন্য আবেদনের নির্ধারিত সময় ছিল ২৯ এপ্রিল। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের বেশিরভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সময় বৃদ্ধি করে সৌদি সরকার।
মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম। তিনি বলেন, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হজে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বেড়েছে।
ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার জানান, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের বেশিরভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা এর অন্যতম কারণ। অল্প কয়েক দিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও কঠিন হবে।
গত বছরের নভেম্বর মাসে ২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময় ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছিলেন, এ বছরের ১ মার্চ থেকে পবিত্র হজ পালনের ভিসা ইসু্য শুরু হবে ও ২৯ এপ্রিল র্পযন্ত ভিসা আবেদন করা যাবে। কিন্তু বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো সৌদিতে বাসা ভাড়া করতে না পারা, ২৮ হাজার হজযাত্রীর মুজদালিফায় যাওয়ার অনিশ্চয়তা, মক্কা-মদিনার বাড়ি ভাড়ার টাকা আইবিএন অ্যাকাউন্টে না পাঠানোর জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে ভিসা আবেদন করতে পারেনি হজ এজেন্সিগুলো।
আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। তার আগে ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রেলের উন্নয়নে
সহযোগিতা করতে
আগ্রহী রাশিয়া
ম যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের রেলের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতা করতে রাশিয়ার আগ্রহ রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রেলভবনে মন্ত্রীর কার্যালয়ে রেলমন্ত্রী জিলস্নুল হাকিমের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে মস্কোর অমূল্য সমর্থনের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সাল থেকেই রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক বিরাজমান। দ্বিপাক্ষিক স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। রেলমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া আমাদের অনেক বড় উন্নয়ন অংশীদার। দেশটির অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান।
জিলস্নুল হাকিম বলেন, বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ, মিটারগেজ ও ডুয়েলগেজে বিভক্ত। আমরা ক্রমান্বয়ে ব্রডগেজে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করছি। রেল আরও সম্প্রসারণ করে প্রত্যেকটি জেলায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
রাশিয়া আমাদের অনেক প্রকল্পে সাহায্য করছে এবং ভবিষ্যতে এ সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
আলোচনায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎ কেন্দ্রসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণে রাশিয়ার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। আমরা বাংলাদেশের রেলওয়ের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
এ সময় রাষ্ট্রদূত রাশিয়ার বিভিন্ন রেল স্থাপনা পরিদর্শনে মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।