প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রম্নতি

প্রকাশ | ০১ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি সংকট নিরসনে তাদের সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রম্নতিও দেন। তারা স্থানীয় সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীলতার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা করার বিষয়টি উলেস্নখ করেন। মঙ্গলবার রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এ প্রতিশ্রম্নতি দেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা। মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় তারা বাংলাদেশে অস্থায়ী ভিত্তিতে আশ্রয়গ্রহণকারী জোরপূর্বক বাস্তুচু্যত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন, আশ্রয় নেওয়া দেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ের ওপর বিরূপ প্রভাব ও তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা বাংলাদেশ সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ বিষয়ে দ্রম্নত এবং স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা পালনের ওপর তিনি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, 'প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিরাজমান হতাশা তাদের আইনবিরোধী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে পারে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।' তিনি আরও বলেন, মানবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে যেসব শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা তাদের প্রত্যাবাসনের পরে রাখাইনে টেকসই সহাবস্থানে সহায়ক হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা ও আগ্রহ নিয়ে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। আলোচনা সভায় কানাডা ও জাপানের রাষ্ট্রদূত, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ও অস্ট্রেলিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রিজিওনাল রিফিউজি কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। এ ছাড়া ইউএনএইচসিআরের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ, ইউএনআরসির হেড অব অরগানাইজেশন ও ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। আলোচনা সভায় জননিরাপত্তা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।