শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
চট্টগ্রামে জাল কাগজে অর্পিত সম্পত্তি বিক্রি

যায়যায়দিনে সংবাদ প্রকাশের পর ভূমিদসু্য চক্রের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম অফিস
  ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যায়যায়দিনে সংবাদ প্রকাশের পর ভূমিদসু্য চক্রের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার উত্তর চান্দগাঁও বড়বাড়ী নাথপাড়া এলাকায় ঘোষিত অর্পিত সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ভূমিদসু্য চক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জেলা প্রশাসন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চান্দগাঁও ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. ইমাম উদ্দিন বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইমাম উদ্দিন।

তিনি বলেন, জাল কাগজ সৃজনের মাধ্যমে অর্পিত সম্পত্তি বিক্রির বিষয়ে ভূমিদসু্য চক্রের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেইসসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল। তাছাড়া এই অর্পিত সম্পত্তি বিক্রির ওপর দেশের জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। ফলে ভূমিদসু্য চক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য লিখিত নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। নির্দেশনা পাওয়ার পর দ্রম্নত সময়ের মধ্যে চান্দগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় ভূমিদসু্য চক্রের মূল হোতা তপন কুমার নাথ (৬৪) ও স্বপন কুমার নাথ (৬২) পিতা- মৃত শুবল চন্দ্র নাথ, শিমুল কান্তি নাথ (৫০), পিতা- হিমাংশু বিমল নাথ, কৃষ্ণ নাথ (৩৫), পিতা- বিশ্বেসর নাখ, কমল দেবনাথ (৪৪), পিতা- হিমাংশু বিমল নাথ, রূপন দেবনাথ (৪৬), পিতা- মৃত নিকুঞ্জ দেবনাথ, দেবরাজ নাথ (২৪), পিতা- দুলাল নাথ, সুভাষ চন্দ্র দেবনাথ (৫৬), শংকর দেবনাথ (৫৩), তাপস দেবনাথ (৪৯), পংকজ দেবনাথ (৫১), সানু বিশ্বাস (চন্দন) (৫২) সহ মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভিপি ৮৩/৮০-৮১ মামলা নং- ৮৩/৮১-৮২ মূলে ক তফসিলে গেজেটভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি শাখার স্মারক নং- ০৫.৪২.১৫০০,৩০৫.০২.০১১.১৯-৩৯৮, তাং- ১৬/১০/২০২৩ ইং এর প্রদত্ত নির্দেশের আলোকে গত বছরের ১৬ নভেম্বর. স্মারক নং- ৩১.৪২.১৫১৯.০০০.০০৬.০০১.২৩- ৬৫০ মূলে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, অর্পিত শাখা, চট্টগ্রামের চলতি সালের ২১ জানুয়ারি ০৫.৪২.১৫০০,৩০৫.০৩.০০৪.১৮-৩৮নং স্মারক মূলে প্রদত্ত নির্দেশনা মতে স্মারক নং- ৩১.৪২.১৫১৯,০০০.০০৬.০০১.২৪-২৮৫, ২৫ এপ্রিল মূলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া বিবাদীগণের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, চান্দগাঁও মৌজার সাবেক পাঁচলাইশ বর্তমানে- চান্দগাঁও থানাধীন চট্টগ্রাম জেলার পি.এস ৬১৭নং খতিয়ানের পি.এস ১৬৬৭ দাগের শামিল বি.এস ৩০০৪নং খতিয়ানের বি.এস ১২৬৮ দাগের ০.০১৪ একর সম্পত্তির আন্দর ০.০৭ একর ও বি.এস ১২৮৩ দাগসহ অন্য দাগাদির আন্দর মোট ১.৫৫৫০ একর জমি ভি.পি. মামলা নং- ৮০/৮০-৮১ ৮৩/৮১-৮২ মূলে ক তফসিলে গেজেট ভুক্ত গেজেটের ৯২৪৮ ও ৯২৪৯নং পৃষ্টায় ২৮৯নং ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তি হয়।

ওই সম্পত্তি ভিপি সম্পত্তিতে সরকারের যাবতীয় স্বত্ব, স্বার্থ দখল নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান থাকাবস্থায় উপরোক্ত ১-৪নং বিবাদীগণ বেআইনিভাবে সরকারি স্বার্থযুক্ত আইন অনুযায়ী গেজেটভুক্ত হিসেবে লিপি বলবৎ সম্পত্তির দাতা-গ্রহীতা সাঁজিয়া এবং ৫-১২নং বিবাদীরা সাক্ষী শনাক্তকারী ও দলিল লেখক হইয়া পরস্পর অপযোগসাজশে তথ্য গোপন করিয়া মিথ্যা বিবরণ সংবলিত তথ্য প্রদান করে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বর্ণিত ভিপি মামলা মূলে সরকারি ক তালিকা গেজেটভুক্ত ভিপি মামলা নং ৮৩/৮০-৮১ মূলে সরকারের ভিপি সম্পত্তির ওপর বি.এস ১২৬৮ দাগের আন্দর ০.০১৭১ একর জমি উলেস্নখ করে ২২ সালের ১৮ অক্টোবর চান্দগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৬১৭৪ নং বিক্রীত দলিল সৃজন করেন।

বর্ণিত ৬১৭৪নং রেজিস্ট্রিকৃত দলিলে ১নং ও ২নং বিবাদীগণ আইনগতভাবে অবমুক্তবিহীন ওয়ারিশ উলেস্নখ করে দাতা ও ৩নং বিবাদী গ্রহীতা হিসেবে এবং ৫-৭নং বিবাদীগণ সাক্ষী শনাক্তকারী ও ১২নং বিবাদী দলিল লিখক হইয়া পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে সরকারি সম্পত্তি বেআইনিভাবে গ্রাস করার কু-উদ্দেশ্যে প্রতারণা মূলকভাবে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বর্ণিত জাল দলিল সৃজন করেন।

একই প্রকারে বর্ণিত ভিপি মামলাভুক্ত বি.এস ১২৮৩ দাগের আন্দর ০.০১৬০ একর ভি.পি সম্পত্তি নিয়ে গত ২২ সালের ১৩ নভেম্বর চান্দগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৬৮১৯নং আরেকখানা বিক্রীত দলিল সৃজন করেন। বর্ণিত ৬৮১৯ সং রেজিস্ট্রিকৃত দলিলে একইভাবে ১নং ও ২নং বিবাদীগণ দাতা, ৪নং বিবাদী গ্রহীতা, ৮-১১নং বিবাদীগণ সাক্ষী শনাক্তকারী ও ১২নং বিবাদী দলিল লিখক হইয়া পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে সরকারি সম্পত্তি বেআইনিভাবে গ্রাস করার কু-উদ্দেশ্যে প্রতারণামূলকভাবে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বর্ণিত জাল দলিল সৃজন করেন।

এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, অর্পিত সম্পত্তি শাখা, চট্টগ্রামের স্মারক নং- ০৫.৪২,১৫০০,৩০৫.০২.০১১.১৯-৩৯৮, তাং- ১৬/১০/২০২৩ ইং এর প্রদত্ত নির্দেশের প্রেক্ষিতে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে স্মারক নং- ৫-১/২৩-২০৭/চান্দগাঁও মূলে বিগত ১৫/১১/২০২৩ ইংরেজি তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করা হয়। বর্ণিত তদন্ত প্রতিবেদনে বিবাদীগণ পরস্পর যোগসাজশে সরকারি সম্পত্তি ও স্বার্থ বেআইনিভাবে গ্রাস করার কু-উদ্দেশ্যে বর্ণিত ৬১৭৪/২০২২ নং ও ৬৮১৯/২০২২ নং প্রতারণামূলক ও জালিয়াতির আশ্রয়ে দলিল সৃজন করে নিম্ন তফসিলের সম্পত্তির সরকারি স্বার্থযুক্ত বি.এস ১২৬৮ দাগের ভি.পি সম্পত্তির ওপর ১নং বিবাদী ৪ (চার) তলা এবং সরকারি স্বার্থযুক্ত বি.এস ১২৮৩ দাগের ভি.পি সম্পত্তির ওপর ২-৩নং বিবাদীগণ যোগসাজশে সেমিপাকা দোকান ও ভাড়া ঘর নির্মাণে দখলে আছেন মর্মে প্রকাশ পায়।

এর প্রেক্ষিতে বর্ণিত বিবাদীগণ পরস্পর অপযোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয়ে বর্ণিত দলিল সৃজনে অবৈধ উপায়ে সরকারি স্বার্থযুক্ত তফসিলের সম্পত্তিতে প্রবেশ করে সরকারি স্বার্থযুক্ত তফসিলের সম্পত্তির প্রকৃতি পরিবর্তন করে অবৈধ স্থাপনা ও কাঠামো নির্মাণ করে। যাহা আইনানুগভাবে পুনরুদ্ধারযোগ্য হয়। এমতাবস্থায় উপরোক্ত বিবাদীগণ পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণামূলকভাবে মিথ্যা তথ্য প্রদানে মিথ্যা বিবরণ সংবলিত সরকারি স্বার্থযুক্ত ভিপি মামলা নং- ৮০/৮১-৮২ মূলে ক তফসিলে গেজেটভুক্ত তফসিলের সম্পত্তির প্রেক্ষিতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বর্ণিত মিথ্যা দলিলম্বয় সৃজন করে এবং সরকারি স্বার্থযুক্ত ভূমিতে অবৈধ উপায়ে দখলে প্রবেশ করে উহার প্রকৃতি পরিবর্তনে এবং তথায় অবৈধ স্থাপনা ও কাঠামো নির্মাণ করে উপরোক্ত বিবাদীগণ ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ৪, ৫, ৭ (৩), ১১, ১২ ও ১৬ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছেন।

এতদপ্রেক্ষিতে বিবাদীগণের বিগত ১৮/১০/২০২২ ইং তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত ৬১৭৪/২০২২নং ও বিগত ১৩/১১/২০২২ইং তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত ৬৮১৯/২০২২নং দলিলম্বয় প্রতারণা, জালিয়াতির আশ্রয়ে, তথ্য গোপনে, মিথ্যা তথ্য প্রদানে ও বেআইনিভাবে সৃজিত ও প্রস্তুতকৃত মর্মে বিচারাকে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ৬(১) ধারা মতে সংশ্লিষ্ট নথি রেজিস্ট্রার বা রেকর্ডপত্রে লিপিবদ্ধ করিবার জন্য আদেশ প্রদান করা একান্ত আবশ্যক। অতএব মহোদয় অত্র এজাহারের বর্ণিত বিবরণের আলোকে উপরোক্ত বিবাদীগণের বিরুদ্ধে তৎবর্ণিত অপরাধের প্রেক্ষিতে তৎবিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিহীত মর্জি হয়।

উলেস্নখ্য, গত ১৮ এপ্রিল 'চট্টগ্রামে ভূমিদসু্য চক্রের বিরুদ্ধে অর্পিত সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ঢাকা থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিনে। প্রতিবদেনটির তথ্যে উলেস্নখ করা হয়, হাইকোর্টের নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আসছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভিপি শাখার কর্মকর্তারা। এমনিক চান্দগাঁও সার্কেল ভূমি অফিসের কর্মকর্তার প্রতিবেদনে অর্পিত সম্পত্তি বিক্রীর সত্যতা উলেস্নখ থাকলেও তা নজরে আনেনি ভিপি শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

শুধু তাই নয়, দাখিলীয় দলিলপত্র, ভিপি ক তপশিলের গেজেট তালিকা, রেজিস্ট্রি দলিল নং-৬১৭৪, তাং-১৮/১০/২২ ও ৬৮১৯, তাং-১৩/১১/২০২২, পি. এস ও বি. এস খতিয়ান ও বাস্তব দখল সার্বিক পর্যালোচনায় দাখিলীয় অভিযোগের সত্যতা পায় চান্দগাঁও ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। সরকারি ভিপি সম্পত্তি অবৈধ দখলকার ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল সৃজন করার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়।

প্রতিবেদন প্রেরণের পর তিনমাস অতিবাহিত হলেও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি ভিপি সম্পত্তি বিক্রয়কারী ভূমিদসু্য চক্রের হোতা তপন কুমার নাথ, স্বপন নাথ, শিমুল কান্তি নাথ ও কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে ভুক্তভোগী পক্ষ গত ৩১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের জুডিশিয়াল বেঞ্চ বিচারপতি মিসেস নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের আদালতে এ বিষয়ে একটি রিট আবেদন করেন।

জুডিশিয়াল বেঞ্চের বিচারপতি এ বিষয়ে অর্পিত সম্পত্তি বিক্রয় ও ভোগ দখলের দায়ে বিবাদীর বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভিপি শাখাকে আদেশ দেন। আদেশের কপি গত ২১ জানুয়ারি রিসিভ করেন ভিপি শাখা। সেই থেকে গত দুই মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও উচ্চ আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভিপি শাখার অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন ও মো. হেনার সহযোগিতায় অর্পিত সম্পত্তি শাখার একাধিক কর্মকর্তা তপন কুমার নাথ ও স্বপন কুমার নাথের নেতৃত্বে পরিচালিত ভূমিদসু্য সিন্ডিকেটে জড়িত।

স্থানীয়দের মতে, তপন কুমার নাথ ও স্বপন কুমার নাথ শুধু ভূমিদসু্যই নন, ইয়াবাসহ নানা মাদক ব্যবসায়ও জড়িত। সাম্প্রতিক সময়ে তারা ইয়াবাসহ চান্দগাঁও থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। কিন্তু গোপন চুক্তিতে তারা রাতের আঁধারে ছাড়া পায়। এ ছাড়া ভূমিদসু্য চক্রের অধীন কিশোরগ্যাং ও অবৈধ অস্ত্র আছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় লোকজনের তথ্যমতে, বি. এস ৩০০৪ নং খতিয়ানে ১২৬৮ দাগের ০.১৪ একর জমি শ্রেণি বাড়ি হিসেবে নিকুঞ্জ দেবনাথ গং।। (আট আনা) ও সুবল চন্দ্র নাথ। (চার আনা), পিং-ব্রজ নাথ, জ্ঞানদবালা দেবী। (চার আনা), জং- শশী মোহন নাথ হাল সাং ভারত পক্ষে বাংলাদেশ সরকার।। (আট আনা) হিস্যাংশ মতে শুদ্ধরূপে জরিপ লিপি চূড়ান্ত প্রচারিত আছে।

কিন্তু বি. এস মালিক সুবল নাথ ও জ্ঞানদা বালা দেবী বিগত ০৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ ইং হতে ১৬ ফ্রেব্রম্নয়ারি ১৯৬৯ইং তারিখের মধ্যে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান তথা স্বদেশ ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। ফলে নালিশি দাগের।। (আট আনা) অংশ ০.০৭ একর ও অন্যান্য দাগাদির সম্পত্তিসহ সরকার কর্তৃক অনাবাসিক সম্পত্তি হিসেবে ভিপি শুমারী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

ভারতবাসী সুবল চন্দ্র নাথের সম্পত্তি ভিপি ক তালিকার গেজেটে সাবেক পি.এস ৬১৭নং খতিয়ানভুক্ত পি. এস ১৬৬৭ দাগের শামিল বি.এস ১২৬৮ দাগের আন্দর ০.০৭ একর ও অন্যান্য দাগাদির জমিসহ মোট ১.৫৫৫০ একর জমি গেজেট তালিকার পৃষ্ঠা নং- ৯২৪৮ ও ৯২৪৯ এবং ক্রমিক নং-২৮৯ এ অন্তর্ভুক্ত হয়। উক্ত ভিপি সম্পত্তিতে সরকারের যাবতীয় স্বত্ব স্বার্থ দখল ও নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান থাকাবস্থায় ভারতবাসী সুবল চন্দ্রের ওয়ারিশগণ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এবং জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি ক তালিকাভুক্ত ভিপি সম্পত্তি রেজিস্ট্রি দলিল নং-৬১৭৪/২০২২ তাং-১৮/১০/২০২২ মূলে ০.০১৭১ একর জমি জনৈক শিমুল কান্তি নাথ, পিতা- হিমাংসু বিমল নাথ বরাবর বিক্রয় করেন।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির যাযাদিকে বলেন, জেলা প্রশাসনের দায়ের করা অভিযোগ মামলা হিসেবে দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়েরের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলেই আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে