থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে সোমবার দেশে পৌঁছালে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের -ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে সোমবার দেশে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বিমানটি ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা করে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে পৌঁছান শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন। দুই নেতার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্কসংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়। সেখানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজের সভায় শেখ হাসিনা তার এই সফরকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, 'এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।' পাশাপাশি ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা ক্লাওচা উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা বিমলা লক্ষ্ণণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের (ইউএনসিসি) এসকাপ হলে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে সই হওয়া পাঁচটি নথি হচ্ছে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি অভিপ্রায়পত্র (লেটার অব ইনটেনশন), সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতিসংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনাসংক্রান্ত অভিপ্রায়পত্র।