রাজধানীর নর্দ্দা এলাকায় শাকিল (২৫) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে আটকের পর মারধর করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়। দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই যুবক মারা গেছেন।
শনিবার রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই যুবক। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শাকিল নেত্রকোনার সদর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের মো. আলেকের ছেলে। স্ত্রী-পরিবার নিয়ে নর্দ্দা এলাকায় থাকতেন তিনি। রাজমিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করতেন শাকিল।
গত ২৫ এপ্রিল রাত পৌনে ১০টার দিকে চোর সন্দেহে তাকে বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের পর ওই বাড়ির মালিকের ছেলে ইমরান হোসেন শুভকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি মামলার দুই নম্বর আসামি। তবে মামলার প্রধান আসামি বাড়ির কেয়ারটেকার এখনো পলাতক।
রোববার গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাইয়ুম জানান, গত ২৫ এপ্রিল নর্দ্দার সরকার বাড়ি ক-২১/২-জি নম্বর বাড়ির কেয়ারটেকার আমিনুল ইসলাম আমিন, বাড়ির মালিকের ছেলে ইমরান হোসেন শুভসহ আরও পাঁচ-ছয়জন মিলে শাকিল নামে ওই যুবককে চোর সন্দেহে আটক করেন। এরপর তার হাত পা বেঁধে তাকে পেটান। তারপর তাকে ভবনটির ৯ তলার ছাদে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মারধর করার একপর্যায়ে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেন। ঘটনার পর খবর পেয়ে স্বজনরাই তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকরা আইসিইউয়ে নেওয়ার কথা বললে স্বজনরা তাকে ধানমন্ডির টুয়েন্টি সেভেন পস্নাস নামে একটি হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রাত ১১টার দিকে তার মৃতু্য হয়।
এসআই জানান, ঘটনার পর ২৬ এপ্রিল গুলশান থানায় স্বজনরা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর দুই নম্বর আসামি বাড়ি মালিকের ছেলে ইমরান হোসেন শুভকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় প্রধান আসামি বাড়ির কেয়ারটেকার আমিনুল ইসলাম আমিন এখনো পলাতক। তাকেসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এসআই কাইয়ুম জানান, যে চুরির অভিযোগে শাকিলকে মারধরের পর ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে; এমন চুরির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে।