ফরিদপুরে বহিষ্কার হওয়া বিএনপি নেতা অবস্থান পাল্টালেন

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে ইতোমধ্যে বহিষ্কারের শিকার হয়েছেন ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রউফ উন্‌ নবী। তবে একটি টিভি চ্যানেলে কেন্দ্রীয় নেতাদের জড়িয়ে সম্প্রতি আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার পরে বিব্রত তিনি। বললেন, নির্বাচনী কাজে ব্যস্ততার পাশাপাশি দলের অভ্যন্তরীণ নানা ঝামেলায় মুখ ফসকে তিনি যা বলেছেন তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। এটি আসলে তার মনের কথা নয় বলে দাবি করেন তিনি। শনিবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রউফ উন্‌ নবী এসব কথা বলেন। আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের নির্বাচনে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে হেলিকপ্টার প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রউফ উন্‌ নবী বলেন, 'উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত তাকে কেউ জানায়নি। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে কিছু বলেনি। আর যখন তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত জানতে পারেন তখন নির্বাচন থেকে সরে আসার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তিনি পারিবারিকভাবেই নির্বাচনমুখী। এর আগে একাধিকবার ইউপি নির্বাচন করেছেন।' কর্মী-সমর্থকদের সংগঠিত রাখতে এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি এখনো শ্রদ্ধাশীল উলেস্নখ করে তিনি জানান, তাকে আগেও একবার বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবার নতুন করে বহিষ্কারের ঘটনায় এটিই প্রমাণিত হলো যে, আগেরবারের বহিষ্কারের তথ্য সঠিক নয়। এবারও তাকে বহিষ্কারের যে কথা বলা হচ্ছে তা-ও যুক্তিযুক্ত নয়। নিজেকে বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী উলেস্নখ করে তিনি জানান, 'রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে তিনি বিএনপি করছেন। ফরিদপুরের সদর আসনে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের হাত ধরে তার রাজনীতিতে আসা। শহীদ জিয়ার আদর্শে তিনি আজীবন কাজ করছেন। তিনি মনে করেন উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি সরকারের প্রতিনিধি হটিয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতিনিধি হিসেবে দেশ, দল ও জনগণের সেবা করতে সক্ষম হবেন। প্রসঙ্গত, এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ফরিদপুরের রউফ উন্‌ নবীসহ সারাদেশের ৭৩ জন প্রার্থীকে দলীয় সিদ্ধান্তে বহিষ্কার করা হয়েছেন।