রিমান্ড শেষে কারাগারে
কেএনএফের ২ সদস্য
ম যাযাদি ডেস্ক
বান্দরবান জেলায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল কুকি চীন ন্যাশনাল ফন্টের (কেএনএফ) প্রধান নামাম বম ও তার সশস্ত্র সদস্যদের ধরতে চালানো অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন দুই সদস্যকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ দিন দুপুরে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বান্দরবানের থানচি থানার মামলায় অভিযুক্ত আসেলন চেও বম (১৯) ও ভাননুন নুয়াম বমকে (২৩) বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়।
পরে আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি আদালত) মো. নুরুল হকের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার আইও পুলিশের এসআই সমীর ভট্টাচার্র্য জানান, থানচি থানার মামলায় দু'জনকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আবার তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি আরও জানান, গত ২২ এপ্রিল আদালতের কাছে অভিযুক্তদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ২৪ ও ২৫ এপ্রিল তাদের পুলিশের হেফাজতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এদিকে দুর্গম পাহাড়ে চলছে যৌথবাহিনীর অভিযান। বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় এই অভিযান চলমান আছে। অভিযানে পুলিশ, বিজিবি,র্ যাব আর সেনাবাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ, মসজিদে হামলা ও পুলিশের অস্ত্র লুটের ঘটনায় রুমা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়। পরে ৩ এপ্রিল দুপুরে আবার বান্দরবানের থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় চারটি মামলা করা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান শুরু করে এ পর্যন্ত মোট ৯টি মামলায় ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠান।
হাতির আক্রমণে
কৃষক নিহত
ম যাযাদি ডেস্ক
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা সীমান্তে বোরো ধান ক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বন্যহাতির আক্রমণে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বাতকুচি টিলা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নালিতাবাড়ী মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। নিহত ওমর আলী মিস্ত্রি (৫০) ওই গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে।
রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে ওমর আলী তার উঠতি বোরো ধান ক্ষেত পাহারা দিতে যান। রাত প্রায় ১১টায় একদল বন্যহাতি পাহাড় থেকে নেমে এসে আকস্মিভাবে তার ওপর আক্রমণ করে।
হাতির দল ওমর আলীকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে এবং পায়ে পিষ্ট করে। পরে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে ওমর আলীর ছিন্ন-ভিন্ন লাশ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজন এবং
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যরা
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দিনভর বন্যহাতির দলটি চৌকিদার টিলা ও সমেশ্চুরাসহ আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় বিচরণ করছিল।
রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল আর জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় কৃষক ওমর আলী মিস্ত্রির জানাজা শেষ তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
হাতির আক্রমণে নিহত হওয়ায় তার পরিবারকে তিন লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা।