ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের 'গেস্টরুমে' অতিরিক্ত গরমে এক শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেছেন, কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হলের গেস্টরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিয়ামুল ইসলাম অচেতন হয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় বুধবার হলের আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ শাহ মিরানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিজয় একাত্তর হল প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আবাসিক শিক্ষক মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন ও আবু হোসেন মুহাম্মদ আহসান।
প্রাধ্যক্ষ আবদুল বাছির বলেন, 'হলের অতিথি কক্ষে একজন শিক্ষার্থী অচেতন হওয়ার ঘটনাটি জানার পর আমরা খোঁজ নিয়েছি। গেস্টরুমের নামে যে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে এর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
গেস্টরুমে থাকা একাধিক শিক্ষার্থী বলেছেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদের কর্মীরা আদব-কায়দা শেখানোর জন্য জুনিয়রদের হলের অতিথি কক্ষে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখে। সে সময় প্রচন্ড গরমে নিয়ামুল অসুস্থ বোধ করেন। শারীরিক অস্বস্তির কথা জানালেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়েননি। এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান নিয়ামুল। পরে তার বন্ধুরা গণরুমে নিয়ে মাথায় পানি ঢেলে তাকে সুস্থ করেন।
এ বিষয়ে জানতে নিয়ামুলকে ফোন করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদ বলেন, 'এটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। ঈদের পর সিনিয়র-জুনিয়রা বসেছিল। কীভাবে ঈদের ছুটি কেটেছে তা নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছিল। গরমের কারণে নিয়ামুল অস্বস্তি বোধ করে। তখন বন্ধুরা তাকে ডাবের পানি খাইয়ে তার কক্ষে রেখে আসে। তাকে হাসপাতালেও নিতে হয়নি।'