মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের কারণে জনগণ জিম্মি :রিজভী
প্রকাশ | ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের কারণে জনগণ জিম্মি মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী এখন আবার ডামি উপজেলা নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারাও সুযোগ পাচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাতদিনের ধারাবাহিক কর্মসূচির প্রথম দিনে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মধ্যে বোতলজাত পানি ও স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।
রিজভী বলেন, প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় রাজত্ব সৃষ্টি করেছে তারা। তাও ডামি এমপি। আজকে ডামি এমপির স্ত্রী, শ্যালক, ভাই দিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে এমপিরাজ। এমপি রাজত্বের কারণে জিম্মি গোটা এলাকা।
তিনি আরও বলেন, ফরিদপুরে ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে দুই হাজার কোটি টাকা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ভাই নাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা অর্জন করেছেন। এই আলাদীনের চেরাগ কই থেকে এলো? কানাডা, দুবাই, মালয়েশিয়ায় এত বাড়িঘরের মালিক কীভাবে হলেন?
বিএনপির এই জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা বারবার বলেছেন, কয়লা দিয়ে বিদু্যৎ উৎপাদন করবেন না। কিন্তু গণবিরোধী প্রধানমন্ত্রী গণবিরোধী প্রজেক্ট করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে কয়লা তাপবিদু্যৎ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ঢাকার চারপাশের নদী দখল করে ভরাট করেছে। ক্ষমতাসীনদের সৃষ্ট পরিবেশ বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য দেশের তাপমাত্রা বাড়ছে।
তিনি বলেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে জিয়াউর রহমান রেশনিং ব্যবস্থা তুলে নিয়েছিলেন। আজকে দেশের অর্থনীতিকে লুটতরাজ করে ভঙ্গুর করে ফেলেছে। মুখে স্বয়ংসম্পূর্ণের কথা বলে আবার রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছেন। তাও সাধারণ মানুষ এর আওতায় নয়, আওয়ামী গোষ্ঠী এই রেশনিং কার্ডও দলীয়করণ করেছে।
রিজভী বলেন, বিএনপির সময় দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়, তখন রেশনিং লাগে।
ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চেয়েছেন, বিএনপির কর্মসূচির দিন কেন আপনারা পাল্টা কর্মসূচি দেন? তিনি বললেন, বিএনপিকে মানসিকভাবে বাধা দেওয়ার জন্য আমরা পাল্টা কর্মসূচি দেই। এতেই প্রমাণ হয়, ওবায়দুল কাদেরের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তিনি সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলেন। তিনি (ওবায়দুল কাদের) চাঁদাবাজ ও গুন্ডাদের গডফাদার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, সহ-অর্থনৈতিক-বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন এবং বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তথ্য-বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোহন, হাজি মনির হোসেন, সদস্য দপ্তরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু এবং প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা।