সংবাদ সংক্ষেপ
প্রকাশ | ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে 'ঘুষ'
নেওয়ার অভিযোগ
ম শাবি প্রতিনিধি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মী সরবরাহ করে থাকে যমুনা স্টার সেইভ গার্ড সার্ভিস লিমিটেড।
কোম্পানির বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সুপারভাইজার সৈয়দ হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিবের বিরুদ্ধে কর্মী নিয়োগে 'ঘুষ' নেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন কোম্পানির নিরাপত্তা কর্মীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্বদ্যিালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিতভাবে এসব অভিযোগ করেছেন তারা। অভিযোগপত্রে কোম্পানির ৯৪ জন কর্মী স্বাক্ষর করেন।
লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, একজন যোগ্যতাসম্পূর্ণ ব্যক্তি কোম্পানিতে চাকরি নিতে প্রায় এক থেকে দেড়লাখ টাকা দিতে হয় হাবিবকে। এছাড়া বিনা কারণে কর্মীদের হাজিরা কাটা, অতিরিক্ত ডিউটিতে টাকা আদায়, কোম্পানির কথা বলে বিনা কারণে কর্মীদের কাছে ১০ হাজার করে টাকা দাবি, অনিয়ম নিয়ে কথা বলায় এবং ছুটি নিয়ে চিকিৎসায় গেলে দুজনকে বিনা নোটিশে চাকরিচু্যত করা ও কটু ভাষায় কথা বলেন সৈয়দ হাবিবুর রহমান।
এসব অভিযোগ তুলে সুপারভাইজার হাবিবকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ওই নিরাপত্তাকর্মীরা। সব অভিযোগের বিষয়ে কোম্পানির সুপারভাইজার সৈয়দ হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'এসব অভিযোগ মিথ্যা'। তিনি আর কিছু বলেননি।
অভিযোগপত্রের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান বলেন, 'বিষয়টি আমি শুনেছি'। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'আমাকেও চিঠি দিয়েছে নিরাপত্তাকর্মীরা।' প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় এ ব্যাপারে কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।
'এমভি আবদুলস্নাহ নিরাপদে
মুক্ত হওয়ায় ভাবমূর্তি
বেড়েছে'
ম যাযাদি ডেস্ক
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেছেন, নিরাপদে সোমালিয়ার জলদসু্যদের কবল থেকে এমভি আবদুলস্নাহ জাহাজটি মুক্ত হওয়ায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের আন্তরিকতা, বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় এটি সম্ভব হয়েছে। এটা পজিটিভ দিক। বুধবার ১৩৭তম বন্দর দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় আমরা আমাদের জলসীমা নিরাপদ রেখেছি। চট্টগ্রাম বন্দর নিরাপদ। বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ আসলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। তথ্যপ্রযুক্তি, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়বে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা চাই প্রতিযোগিতা থাক। বায়ার চায় অর্ডার ঠিকমতো ডেলিভারি পাচ্ছে কিনা। দেশে লজিস্টিক সাপোর্ট থাকলে পোশাক কারখানার অর্ডার বাড়বে। পিসিটিতে প্রতি বছরে আড়াই লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং ভাড়া দিতে হবে কার্যাদেশ পাওয়া বিদেশি অপারেটরকে। সবার কাছে হিসাব আছে বাংলাদেশের চাহিদা সম্পর্কে। বে টার্মিনাল ও গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে বিদ্যমান বন্দর জেটিতে লাইটার জাহাজ ও প্যাসেঞ্জার শিপ ভিড়তে পারবে।
কর্ণফুলী দখল দূষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কর্ণফুলী চট্টগ্রাম বন্দরের হার্ট। এ নদী আমাদের মায়ের মতো। নদী খনন, বর্জ্য অপসারণ নিয়মিত করে যাচ্ছি। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। বর্জ্য ঠেকাতে বন্দরের পক্ষ থেকে খালের মুখে নেট বসিয়ে দেওয়া হবে। তবে এককভাবে কারও পক্ষে নদী রক্ষা সম্ভব নয়। বন্দরের অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। ১৯৮৬ সালে নির্ধারিত ট্যারিফে বন্দর চলছে। এখন জ্বালানির দাম বেড়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের ট্যারিফ কম। আমরা প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। এটা জরুরি।