সরকারের 'অভিন্নহৃদয় বন্ধু' পার্শ্ববর্তী দেশ :রিজভী

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যাযাদি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান ডামি সরকারের 'অভিন্নহৃদয় বড় বন্ধু' হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। মনে হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা শেখ হাসিনা তাদের দিয়ে দিয়েছেন। তাই প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিএসএফ কর্তৃক বধ্যভূমি বানানো হলেও আওয়ামী নিপীড়ক সরকারকে নিশ্চুপ থাকতে হয়। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনা। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানসহ দেশের বিরোধী দলের প্রধান নেতারাসহ লাখ লাখ নেতাকর্মীর ওপর নেমে আসা জেলজুলুম, অত্যাচার আর অবিচারের প্রকটতা দেখে বিশ্বসম্প্রদায় বিচলিত হলেও তাতে প্রধানমন্ত্রীর কোনো কিছু যায়-আসে না। তার সব অপকর্মের দায় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে দেশবাসী এত দিন যা মনে করেছে, মার্কিন প্রতিবেদনেও সেটি উঠে এসেছে। ডামি প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা আবারও প্রমাণিত হলো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা পেলে বিরোধী শক্তিসহ গণতন্ত্র স্বীকৃত নাগরিক স্বাধীনতাকে নিশ্চিহ্ন করা যায়। আর আইন-আদালত প্রবল প্রতাপশালী একনায়কের 'নির্দেশপত্র' মোতাবেক চলে, যেমনভাবে শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নিজের মামলাগুলোকে নিরুদ্দেশ করেছেন। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সোমবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে হাসান মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে। সীমান্তে রক্তের দাগ যেন শুকাচ্ছেই না। বাংলাদেশি মানুষের রক্তে সীমান্ত সব সময়ই ভেজা থাকছে। তিনি বলেন, দখলদার আওয়ামী সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডারদের দিয়ে নিজস্ব সেনাদল গঠন করে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত চালাচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। কিন্তু ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন দখলদার আওয়ামী সরকার বিএসএফের বর্গীর ভূমিকার বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করতে পারেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত হাসান মিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করে এবং তার পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানান রিজভী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, আব্দুস সালাম, বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।