ঢাকা সফররত ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া অঞ্চলের একটি প্রতিনিধদলের সঙ্গে সোমবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা।
ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপেস্নক্সে উচ্চ-পর্যায়ের এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং শ্রমিকদের অধিকার, কল্যাণ এবং বাজার প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত নীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া অঞ্চলের সহকারী ইউএসটিআর, ব্রেন্ডন লিঞ্চের নেতৃত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া অঞ্চলের ইউএসটিআর পরিচালক এমিলি অ্যাশবি এবং শ্রমবিষয়ক ইউএসটিআর পরিচালক জেনিফার ওটকেন, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক ইউনিটের প্রধান জোসেফ গিবলিন ও লেবার অ্যাটাশে লীনা খান প্রমুখ।
বৈঠকে বিজিএমইএ'র পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)। আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন বিজিএমইএ'র সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন এবং সহ-সভাপতি আবদুলস্নাহ হিল রাকিব।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ'র পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক শোভন ইসলাম, পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, পরিচালক মো. আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক নুসরাত বারী আশা এবং বিজিএমইএ'র আইএলও ও শ্রম সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আ ন ম সাইফুদ্দিন।
আলোচনাকালে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, শ্রমিকদের অধিকার এবং চলমান শ্রম আইন সংস্কারের বিষয়ে শিল্পের উলেস্নখযোগ্য অগ্রগতিগুলো তুলে ধরেন। তিনি শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ ইসু্যতে আরও অগ্রগতি অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং শিল্পের প্রতিশ্রম্নতি এবং চলমান প্রচেষ্টাগুলো পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ পোশাকের জন্য ন্যায্য নূ্যনতম মূল্য প্রদান এবং সামাজিক নিরীক্ষার জন্য একটি সমন্বিত আচরণবিধি (কোড অব কন্ডাক্ট) নিশ্চিত করতে মার্কিন সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে। বিজিএমইএ মার্কিন সরকারের কাছে বাংলাদেশের পক্ষে জিএসপি পুনর্বহাল করার জন্য এবং তাদের জিএসপি কর্মসূচিতে বাংলাদেশের পোশাক পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও দাবি জানিয়েছে।
ইউএসটিআর-এর প্রতিনিধিদল শ্রম খাতে কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশকালে মার্কিন সরকারের শ্রম কর্ম পরিকল্পনা এবং বিএলএ-তে সংশোধনীসহ আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে বলে সভাকে অবহিত করেন।
গভায় তৈরি পোশাক শিল্পকে আরও টেকসই করার জন্য আরও পারস্পরিক সহযোগিতা এবং একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়।