আজকের যায়যায়দিন

উৎপাদনে ফেরার ২৫ দিন পর চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদু্যৎকেন্দ্রের উৎপাদন ফের বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৪ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের মার্চের ১০ তারিখে বিদু্যৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে আসে। তবে এপ্রিলের ৫ তারিখে জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ বিদু্যৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।

শনিবার দুপুরে শহরের নিউ ট্রাক রোড গুনরাজদী এলাকায় বিদু্যৎকেন্দ্রে গিয়ে উৎপাদন বন্ধ দেখা যায়। তবে কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা সেসময় কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশে কাজ করছিলেন।

বিদু্যৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম রাজু বলেন, '২১ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রকৌশলীরা আসবেন। চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত শিডিউল মেরামত কাজ চলবে।' আগামী ১ মে থেকে পুনরায় বিদু্যৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।

নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুরি বলেন, 'এটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১০ মার্চ ১০০ মেগাওয়াট বিদু্যৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস টারবাইন ইউনিট চালু করা হয়। মাত্র ২৫ দিন বিদু্যৎ উৎপাদন শেষে ৫ এপ্রিল এই ইউনিটের একটি জেনারেটরের বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় দায়িত্বরত প্রকৌশলী দ্রম্নত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি ইউনিটটি শাট ডাউন করে দেন। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে উৎপাদন।'

সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে

পারায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বিদু্যৎকেন্দ্রটি। তবে কি ধরনের ক্ষতি হয়েছে তা রিপেয়ারিং কাজ শুরু হলে বলা যাবে বলে জানান এই প্রকৌশলী।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, 'এর আগে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয় বিদু্যৎকেন্দ্রটি। সব কাজ শেষে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিদু্যৎকেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন ইউনিটটি চালু করতে গেলে ধরা পড়ে গ্যাস বুস্টার যন্ত্র অকেজো। রিজার্ভে থাকা গ্যাস বুস্টার যন্ত্রটি আগে থেকে অকেজো থাকায় বন্ধ হয়ে যায় পুরো বিদু্যৎকেন্দ্রটি। পরে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে গ্যাস বুস্টার কেনাসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা হয় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি।'

চীন, ইন্দোনেশিয়ান এক্সপার্ট টিম ও বিদু্যৎকেন্দ্রের প্রকৌশলীদের যৌথ চেষ্টায় নতুন গ্যাস বুস্টার ইনস্টলেশনের কাজ সম্পন্ন হয় বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদু্যৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। চীনা কোম্পানি চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদু্যৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। আর ২০১২ সালের মার্চ মাসে প্রথম উৎপাদনে যায় কেন্দ্রটি।