সংবাদ সংক্ষেপ
প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকায় আলাদা ভিসা
কেন্দ্র খুলল চীন
ম যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ঢাকায় আলাদা ভিসা কেন্দ্র চালু করেছে চীন দূতাবাস। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বনানীতে প্রাসাদ ট্রেড সেন্টারে চীন ভিসা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
চীন দূতাবাস জানিয়েছে, এ কেন্দ্র চালুর পর সাধারণ পাসপোর্টধারীদের আর দূতাবাসে যেতে হবে না। তবে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের দূতাবাসে গিয়েই ভিসার আবেদন জমা দিতে হবে।
ভিসা কেন্দ্র চালুর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সব পর্যায়ে এবং সব খাতে নিবিড় যোগাযোগ হচ্ছে। বেশি বেশি বাংলাদেশি চীনে যাওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং চীনা ভিসা পাওয়ার চাহিদা বাড়ছে।
লোকবলের স্বল্পতা ও ভিসাপ্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রতার পরও গত বছর প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার বাংলাদেশি চীনা ভিসার আবেদন করেছেন বলে তথ্য দেন রাষ্ট্রদূত।
রষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকার এ কেন্দ্র নিয়ে বিশ্বব্যাপী চীনা ভিসা কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে ১০৩টি হলো।
২০২৩ সালের ১৫ জুন থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা আবেদনের পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে নিয়ে আসার সুফল পাওয়ার কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন ইয়াও ওয়েন।
তিনি বলেন, ভিসা ফর্ম পূরণ, আবেদনের সঙ্গে তথ্যপ্রমাণ জমা এবং অনলাইন সাক্ষাৎকারের মতো সুযোগ তৈরির পর 'উলেস্নখযোগ্য' ফল পাওয়া গেছে। ওই প্রক্রিয়ার কারণেই ১০ মাসের কম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৪৪ হাজার ভিসা ইসু্য করা সম্ভব হয়েছে।
ফেসবুক লাইভে
অস্ত্রাগার :এসপিকে
বাধ্যতামূলক অবসর
ম যাযাদি ডেস্ক
তিনজন বহিরাগত ব্যক্তিকে অস্ত্রাগার দেখানো এবং অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে তা ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ করে দেওয়ায় খুলনা রেঞ্জের পুলিশ সুপার মো. শাহেদ ফেরদৌস রানাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের বিশেষ ইউনিট এসপিবিএন-১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০২০ সালের গত ২৯ আগস্ট শাহেদ ফেরদৌস রানা তিনজন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার দেখার সুযোগ করে দেন।
ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ৭(১) (খ) অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা করা হয়। প্রায় আড়াই বছর তদন্ত শেষে গুরুদন্ড হিসেবে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিল সরকার।
এর আগে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়ার পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত শুনানি হয়। পরে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে বলেন, শাহেদ ফেরদৌস রানা তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খন্ডনের মতো কোনো যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেননি। ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটি 'আসল' বলেও মতামত দিয়েছে ফরেনসিক বিভাগ। তার বিরুদ্ধে আনা 'অসদাচরণ'র অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হলে কমিশন শাহেদ ফেরদৌস রানাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেয়।