সাত ধরনের গাড়ির ক্ষেত্রে মোটরযান নিবন্ধন ও ফিটনেস নবায়নকালে অগ্রিম কর দিতে হবে না। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ-সংক্রান্ত একটি স্পষ্টীকরণ প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
অগ্রিম কর দিতে হবে না- এমন গাড়ির তালিকায় আছে সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ; সরকার বা স্থানীয় সরকারের অধীন কোনো প্রকল্প, কর্মসূচি বা কার্যক্রম; কোনো বৈদেশিক কূটনীতিক, বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘ ও অঙ্গসংগঠনের দপ্তর; বাংলাদেশে কার্যরত বিদেশি উন্নয়ন অংশীদার ও এর সংযুক্ত দপ্তর; এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়; গেজেটেড যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। অগ্রিম কর মওকুফের জন্য এসব গাড়ির মালিককে এনবিআর থেকে সনদ নিতে হবে না।
এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সম্প্রতি বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ কোন কোন গাড়ির ক্ষেত্রে অগ্রিম কর প্রযোজ্য হবে না, তা এনবিআরের কাছে জানতে চায়। অবশ্য আয়কর আইন ২০২৩ অনুসারে এ ধরনের গাড়িতে আগে থেকেই অগ্রিম কর প্রযোজ্য ছিল না। এখন এনবিআর বিষয়টি আরও বিস্তারিত জানিয়ে স্পষ্টীকরণ প্রজ্ঞাপন জারি করল।
সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে গাড়ির অগ্রিম কর বৃদ্ধি করা হয়। ১৫০০ সিসি পর্যন্ত ব্যক্তিগত গাড়ির অগ্রিম কর ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়। বাংলাদেশে যত ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার হয়, এর প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি ১৫০০ সিসির কম। ১৫০০ সিসির বেশি; কিন্তু ২০০০ হাজার সিসির কম এমন গাড়ির অগ্রিম কর ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। এ ছাড়া ২০০০ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির জন্য ১ লাখ টাকা এবং ৩০০০ সিসি থেকে ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম কর দিতে হবে। এর বেশি সিসি হলে দুই লাখ টাকা অগ্রিম কর দিতে হবে।
গাড়ির অগ্রিম করের অর্থ সে বছরের করের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে; পরের বছরের জন্য জমিয়ে রাখা বা সমন্বয় করা যাবে না। গাড়ির অগ্রিম কর হলো চূড়ান্ত কর দায়। ফিটনেস নবায়ন প্রতি বছর করা হয় না। দুই বছর পরপর নবায়ন করতে হয়। কিন্তু প্রতি বছরই ট্যাক্স টোকেন নেওয়ার সময় অগ্রিম কর দিতে হয়।