বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের ৫ জামাত

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার (১০ বা ১১ এপ্রিল) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহ ও বিভিন্ন মসজিদে মুসলিস্নরা দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাতের এ তথ্য জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এতে বলা হয়, ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মো. ইসহাক। দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়। মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক এ জামাতে ইমাম থাকবেন। মুকাব্বির থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম তৃতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন। সকাল ৯টায় এ জামাত হবে। এতে মুকাব্বিরের দায়িত্বে থাকবেন মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী। চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এ জামাতের ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. জসিম উদ্দিন। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন এ জামাতে ইমামতি করবেন। তার সঙ্গে মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদের মো. রুহুল আমিন। এ পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ঈদ জামাতের জন্য প্রায় প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ এদিকে, মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এই ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এই ঈদ উৎসব ঘিরে চলছে জোর প্রস্তুতি। প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ। এখানে প্রায় এক সঙ্গে ৩৫ হাজারে মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। ইতোমধ্যে নামাজের মাঠ প্রস্তুত করার কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে আলোকসজ্জা, ফ্যান লাগানো ও মাঠে কার্পেট বিছানোর কাজ। দেশে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ঈদের নামাজ পড়ে থাকেন। রোববার সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা তদারকির জন্য প্রধান গেটের পাশে এলিট ফোর্সর্-যাবের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া নামাজ পড়তে গিয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বুথ স্থাপন করা হয়েছে। জানা গেছে, সর্বশেষ প্রস্ততি হিসেবে লাইট, ফ্যান ও মাঠের সীমানা ঘেঁষে সাদা কাপড় টানানোর কাজ চলছে। এ ছাড়া পানি নিষ্কাশনসহ বৃষ্টি হলে মুসলিস্নরা যেন নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারেন, এর কাজ চলছে। বরাবরের মতো এবারও ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতের জন্য কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারু সর্দার অ্যান্ড সন্স ডেকোরেটর। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ঈদগাহ ময়দান ঈদ জামাতের জন্য প্রায় প্রস্তুত। এখন শুধু কার্পেটিং ও সাদা চাদর বিছানোর কাজ বাকি। চাঁদ দেখা মাত্রই বাকি কাজ সম্পন্ন হবে। তিনি আরও বলেন, ঈদগাহ ময়দানে পুরুষের পাশাপাশি থাকছে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা। তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী অজুখানা। পুরো প্যান্ডেলজুড়ে মাইক, বিদু্যৎ সংযোগ, ফ্যান ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পুরো ঈদগাহজুড়ে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি। প্রস্তুত করা হয়েছে সিসি টিভি ও কন্ট্রোল রুম। মোজাম্মেল হক বলেন, এবার ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসলিস্ন ঈদের জামাত আদায় করবেন। এ ছাড়াও ঈদগাহের বাইরে পুরো এলাকাজুড়ে মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের জন্য ভিআইপি গেট থাকছে একটি। পাশাপাশি জনসাধারণের জন্য একটি ও নারীদের প্রবেশের জন্য পৃথক একটি গেট রাখা হয়েছে। এদিকে, ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঈদের প্রধান জামাত আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে। তারা এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীতে ঈদগাহ ও বিভিন্ন মসজিদে মুসলিস্নরা দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন।