শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ওয়াসার সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। রাজধানীতে পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম আগামী জুলাই পর্যন্ত পানির ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিং করবে।
রোববার ঢাকা ওয়াসার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমির একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে এই ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেন।
আদেশে শারমিন হক আমির জানান, পানি সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে গঠন করা এই ১০টি মনিটরিং টিম জোনভিত্তিক পামগুলো নিয়মিত ও আকস্মিক পরিদর্শন করবে। পাম-চালকরা যথানিয়মে দায়িত্ব পালন করছেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে টিমগুলো। পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
তিনি আরও জানান, পরিদর্শনের সময় এসব মনিটরিং টিম যদি কোন ত্রম্নটি বা পাম্প বন্ধ পায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ ১০টি টিমের আহ্বায়করা সাপ্তাহিক প্রতিবেদন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে দাখিল করবেন। টিমগুলো আগামী জুলাই পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এদিকে গত ৩১ মার্চ একটি সংবাদ মাধ্যমে 'পানির সংকটে ভোগান্তি, ওয়াসা বলছে আজগুবি' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েছিল ওয়াসা। তখন ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, রাজধানীতে কোথাও পানির সংকট নেই। এলাকাভিত্তিক সাময়িক সমস্যা হতে পারে। সেটাও দু-এক দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যায়। পানি সংকটের এসব অভিযোগ আজগুবি।
এ অন্য দিকে ঢাকা ওয়াসার মনিটরিং টিম যখন সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করছে, তখনই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকটের অভিযোগ করছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মুগদা, মান্ডা, লালবাগ, রায়েরবাগ, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় ঠিকমতো পানি পাওয়া যাচ্ছে না। রমজান মাসে পানির এমন সংকটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় রাজধানীর অনেক জায়গায় গভীর নলকূপ থেকে পানির উৎপাদন কমেছে। রমজানে পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন এলাকায় চাহিদার তুলনায় গভীর নলকূপ কম থাকায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে তীব্র গরমে পানির এই সংকট বাড়বে বলেও ধারণা করছেন অনেকে।