ঈদযাত্রায় যুক্ত হচ্ছে নতুন ধরনের রেলকোচ

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

আবু-বিন-আজাদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুর রেল কারখানায় মেট্রো রেলের কোচের আদলে তৈরি হচ্ছে নতুন ধরনের রেলকোচ -যাযাদি
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এবার দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় তৈরি নতুন ধরনের রেলকোচ যুক্ত হবে স্পেশাল ট্রেনে। নতুন ধরনের এসব কোচে মেট্রোরেলের আদলে উভয় পাশে লম্বা আসন ও দাঁড়িয়ে যাওয়া যাত্রীদের জন্য স্পেস রাখা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে এ ধরনের দু'টি কোচ নির্মাণ করা হয়েছে এ কারখানায়। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ ও আসনবিহীন টিকিটধারী যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এ কোচ নির্মাণ করা হয়। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ঈদে ঘরমুখী যাত্রী পরিবহণে এ কারখানায় অতিরিক্ত কোচ মেরামত করা হয়ে থাকে। নিয়মিত কাজের বাইরে এবার সৈয়দপুর কারখানায় অতিরিক্ত ১১০টি কোচ মেরামত করা হয়। এছাড়াও ট্রেনে বৈদু্যতিক সংযোগ স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ১০টি পাওয়ার কার (কোচ) মেরামত হয়েছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। সূত্র জানায়, ঈদে যেসব কোচ মেরামত করা হয়েছে, তা দিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চারটি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এছাড়া বাড়তি যাত্রী পরিবহণের জন্য আন্তঃনগর ট্রেনেও এসব কোচ জুড়ে দেওয়া হবে। এর সঙ্গে এবারই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে দু'টি ভিন্ন নকশার কোচ পুনর্বাসন করা হয়েছে। জানা যায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার প্রকৌশলীরা পুরাতন কোচের ইন্টেরিয়র ডিজাইন (অভ্যন্তরীণ নকশা) বদলে নতুন ধরনের এই অঙ্গসজ্জা করেছেন। যা অনেকটা মেট্রোরেলের কোচের মতো। কোচের উভয় পাশে আছে লম্বা আসন। সেগুলোতে কিছু যাত্রী বসে যেতে পারবেন। এছাড়াও ১৪১ জন যাত্রী ওপরের হাতল ধরে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন ওই কোচে। অর্থাৎ এক একটি কোচে ২২১ জন যাত্রী বসে ও দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যেতে পারবেন। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কার্য ব্যবস্থাপক (ডাবিস্নউ এম) শেখ হাসানুজ্জামান বলেন, কোচ দু'টি নির্মাণে রাজস্ব খাত থেকে ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলবহরে এবারে প্রথম এ ধরনের কোচ সংযোজন হচ্ছে। ঈদে ঘরমুখী অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণে এগুলো অবদান রাখতে পারবে বলে আশা করছি। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রতিটি ট্রেনে ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে ট্রেনে যুক্ত হবে এসব কোচ। ফলে আসনবিহীন টিকিটধারী যাত্রীরা সেগুলোতে সহজে যাতায়াত করতে পারবেন। ঈদের পরেও বিশেষ ট্রেন তিন দিন চলবে বলে জানান তিনি।